জনপ্রিয় সেরা ইসলামিক বই pdf download লিস্ট
01.বেলা ফুরাবার আগে
02.প্যারাডক্সিকেল সাজিদ
03.নবী জীবনের গল্প
04.ওপারেতে সর্বসুখ
05.মুক্তবাতাসের খোজে
06.গল্পগুলো অন্যরকম
07.হিজাব আমার পরিচয়
08.প্রত্যাবর্তন
09.আর্গুমেন্টস অব আরজু
10.ম্যাসেজ
11.তুমি সেই রাণী
12.দ্যা রিবার্টসঃ ফিরে আসার গল্প
13.বাক্সের বাইরে
14.লাভ ক্যান্ডি
15.পড়ো
16. তত্ত্ব ছেড়ে জীবন
17.বাবা আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন
18.তুমি ফিরবে বলে
19. বি স্মার্ট উইথ মোহাম্মদ
20. প্রদীপ্ত কুঠির।
21. জবাব
22. ফজর আর করব না কাজা
23. জীবন যেখানে যেমন
24. মা আল মুস্তফা
25.প্রাচীর
26.প্রোডাক্টিভ মুসলিম
27.বিপদ যখন নিয়ামত
28.যে আফসোস রয়েই যাবে
29. ফেরা
30.অনেক আধার পেরিয়ে।
২০২১ এ কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞান লেখক ডা. অপূর্ব চৌধুরী স্যারের স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ ‘ভাইরাস ও শরীর’
২০২০, ভাইরাসের বছর। নতুন করোনাভাইরাস COVID-19 । ভাইরাস বদলে দিয়েছে আমাদের চেনা পৃথিবী, জীবন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য এবং শরীর। ২০২০ এ পৃথিবীর বদলে যাওয়ার শুরু হলেও এ পরিবর্তন নিত্য চলছে আরও আগে থেকেই। এমন চলবে এবং সামনে আরও আসবে জীবাণুর সাথে মানুষের যুদ্ধ, প্রকৃতির সাথে শরীরের সংগ্রাম। ভাইরাসের সাথে মানুষের এমন লড়াইয়ে ভাইরাস এবং শরীর নিয়ে জানা তাই জরুরি।
‘ভাইরাস ও শরীর’ বইটি ভাইরাস, করোনা ভাইরাস, শরীর এবং বিবিধ ৪ টি অধ্যায়ে বিভক্ত। এই ৪ টি অধ্যায়ে ভাইরাস, ভ্যাক্সিন, ভিটামিন, মস্তিষ্ক, স্বপ্ন, বাদুড়, মৃত্যু সহ মোট ৩০ টি বিষয়ের উপর স্যার চমৎকারভাবে বিজ্ঞান কে সহজ ভাষায় আলোচনা করেছেন। আমাদের সাধারণ পাঠকদের কাছে বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য রিলেটেড বিষয়গুলোকে সাবলীল এবং আকর্ষনীয় করে তুলেছেন।
বইটি পড়লে আমরা জানতে পারবো, “মানুষের শরীরে গড়ে ৩৮০ ট্রিলিয়ন ভাইরাস থাকে।
কিন্তু এই মিলিয়ন ধরনের ভাইরাসের ৯৯% মানুষের শরীরের কোন ক্ষতি করে না।”
শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্য যে “বাদুড় থেকে ছড়ানো করোনা ভাইরাসে মানুষ অসুস্থ হয়, কিন্তু ভাইরাস কেন বাদুড়কে অসুস্থ করে না। বাদুড়ের দেহ ২০০ ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার বাসা।”
আছে ভ্যাক্সিন নিয়ে মজার তথ্য “এই পর্যন্ত একটি ভ্যাকসিন দিয়ে একটি মাত্র ভাইরাসকে মানুষের শরীর থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা গেছে। সেটি হল Smallpox। গত ২০০ বছরে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের মোট সংখ্যা মাত্র ২৮ টি।”
একজন সচেতন মানুষের নিজের শরীরকে জানা, বুঝা জরুরি। নিজের শরীরকে বুঝতে পারলে ছোট খাট অনেক সমস্যা থেকেই আমরা নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারি। বইটি পড়লে জানতে পারবো, কেন দুপুরে আমাদের ঘুম পায়, কি করে ভালো একটি ঘুম ঘুমাবেন, আমরা কেন স্বপ্ন দেখি.. “প্রতিরাতে গড়ে চার থেকে সাতটি স্বপ্ন দেখে লোকে। মানুষ সারাজীবনে যা স্বপ্ন দেখে তার সময়কাল প্রায় ছয় বছর!!”
আরও আছে সাদাসিধে জীবনের টিপস। কিভাবে খুব সহজেই সাধারণ কিছু নিয়মের মধ্য দিয়েই দৈনন্দিন জীবনে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।
বইটি সময়ের চাহিদা মনে হলেও এই সময়ের সাথে সাথে সব সময়ই প্রয়োজনীয়। কারণ ভাইরাস যেমন আগে ছিল তেমন ভবিষ্যতেও থাকবে। মানুষ থেমে থাকে না, থেমে থাকেও নি। ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীর এবং মনের যুদ্ধ জয়ের মধ্যে দিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে ভাইরাসের কাছে পরাজিত না হতে।
আর এতো সহজ ভাবে ভাইরাস, শরীর, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান নিয়ে বিষয়গুলো নিজেদের জানার কৌতূহল ও তৃষ্ণা মেটাবে। বইটি নিয়ে লিখতে গেলে আসলে কথা শেষ হবেনা। পুরো বইটি জুড়েই লেখকের উপস্থাপন চমৎকার তাই পড়তে গিয়ে বোরিং লাগবেনা। বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য রিলেটেড লেখা যেকোন মানুষের কাছে সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তোলাটা কঠিন (বিশেষ করে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া), কিন্তু লেখক এই কঠিন কাজটিই দারুণভাবে লেখকের নিজস্ব স্টাইল, পরিবেশন এবং ভাষার দক্ষতায় সাবলীলভাবে পরিবেশন করেছেন। শেষে এতোটুকুই বলবো, পাঠক হিসেবে বইটি পড়ে উপকৃত হবেন। নিজেদের সংগ্রহে রাখার মত বই।
বইটি সাধারণ পাঠকদের সাথেসাথে ডাক্তারদের জন্যও উপকারী। কারণ, প্রতিটি বিষয়ের শেষে তথ্যসূত্র এবং আরও জানতে রেফারেন্স দেয়া রয়েছে।
বইটির প্রচ্ছদ, বাধাই, ভেতরের সজ্জা দারুণ। চৈতন্যের প্রকাশক রাজিব ভাইকে ধন্যবাদ দায়িত্ব নিয়ে সুন্দর করে বইটি করেছেন।