আমার দেখা নয়া চীন বই Pdf Download ও রিভিউ – amar dekha noya chin pdf book

book আমার দেখা নয়া চীন বই Pdf Download ও রিভিউ

বন্ধুরা, আজকে নিয়ে আসছি আমার দেখা নয়া চীন শেখ মুজিবুর রহমান Pdf free Download latest version link Google Drive । এছাড়াও, সব সময়ের মত বই পড়ুয়া বন্ধুদের অনুরোধ ক্রমে online reading সহ আমার দেখা নয়া চীন পিডিএফ ডাউনলোড লিংক আপডেট করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

লেখক শেখ মুজিবুর রহমান এর আমার দেখা নয়া চীন রিভিউ ও বইয়ের বিবরণঃ

বই: আমার দেখা নয়া চীন
লেখক(Author) শেখ মুজিবুর রহমান
প্রকাশনী(Publisher) ও  ধরণ(type)  সাহিত্যানুশীলন
ফাইল ফরম্যাট (file format): epub bangla, MOBI, kindle bangla , Bangla Pdf free Download(ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড)
সর্বশেষ প্রকাশ (Last Published Date) 5th Edition Print, 2021 সাল
মোট পৃষ্ঠা (Pages) ৩৩২ পেজ
অঞ্চল ও ভাষা (Content Region & Language) বাংলাদেশ
ফাইল সাইজ:  ৩৪ মেগাবাইট

আমার দেখা নয়া চীন শেখ মুজিবুর রহমান Pdf Book Review(বই রিভিউ ও পর্যালোচনা):

স্বল্প মূল্য দিয়ে কিনে আনা রত্ন লেখক শেখ মুজিবুর রহমান এর আমার দেখা নয়া চীন বইয়ের রিভিউ ও পর্যালোচনা করতে বেশ ভালই লাগছে, যেখানে বইটির প্রকাশনীর প্রিন্ট কোয়ালিটি ও প্রচ্ছদ ভালই ছিল।

নিঃসন্দেহে সংগ্রহে রাখার মত এ বইয়ের পরিচয় জানা অর্থাৎ বইটির ভূমিকা লিখেছেন লেখক শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই, যেখানে লেখক যথার্থ লেখনশৈলী উপহার দিয়েছেন।

আমার দেখা নয়া চীন বইটিতে অনেক শিক্ষণীয় ব্যাপার আছে যা আমাদের জীবন রাঙানোর জন্য হলেও সুপাঠ্য ও বন্ধু মহলে উপহার দেওয়ার মত সবথেকে বেশি প্রাসঙ্গিক বই হবে বলে মনে হয়। আমার খুব প্রিয় একজন লেখক শেখ মুজিবুর রহমান, সুযোগ হলে উনার এই অনবদ্য বইটি পড়বেন। এই বই থেকে যেমন কিশোর পাঠকরা পাবে রোমাঞ্চকর অনুভূতি তেমনি অন্য পাঠকরা পাবেন কঠিন বাস্তবতার সন্ধান। লেখক শেখ মুজিবুর রহমান এর দূরদর্শিতা লেখার ঘটনা পাঠক মনে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে এবং তাঁর নিখুঁত উপস্থাপন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠককে একটা টেনশনের মধ্যে রাখতে পেরেছে ও আমার দেখা নয়া চীন বইটিকে বাস্তব করে তুলেছে।

ভালোবাসার এ আমার দেখা নয়া চীন বইটি যেন আপনার সুসময় ও দুঃসময়ের বন্ধু হতে পারে এ শুভ কামনা।

আমার দেখা নয়া চীন বইয়ের এই সংস্করণটি মোটামুটি ছোট, খুব দ্রুত পড়ে শেষ করা যায় যার কারণে কাহিনী নিয়ে আমি তেমন কিছু লিখলাম না। লেখক শেখ মুজিবুর রহমান এর এই বই পড়ে এবং আমার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আলোচনা করে আমার যে ধারনা হলো তা থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখলাম। আমার দেখা নয়া চীন বই টা না পড়লে এই কঠিন সত্যের সম্মুখীন হওয়া কিংবা রোমাঞ্চকর সেই অনুভূতি পাওয়া সম্ভব নয়।

 

আমার দেখা নয়া চীন পিডিএফ ডাউনলোড by শেখ মুজিবুর রহমান লিংক(link or homepage):

Download the PDF link


আরও পড়ুনঃ

বই- নীলিম করকা
খুব আনকমন বইয়ের নাম দেখেই গল্পের খোঁজে বসে গেলাম। ফ্ল্যাপে লেখা কাহিনী সংক্ষেপ দেখে কিছুটা আঁচ করতে পারলেও সামাজিক প্রেক্ষাপটে লেখা বইটির নামের অর্থ তবুও ছিল একটা চমক। প্রথমে নাম দেখে কিছুই বুঝতে না পারলেও অনুমেয় যে, নারীর হতাশা আর গ্লানির আঁধারে ঘেরা জীবনের ছবিটি প্রচ্ছদে ফুটে উঠেছে। সেই গল্পটি জানতে পুরো বইটি শেষ করলাম। তবেই সব প্রশ্নের উত্তর মেলানো গেলো।

নীলিম করকাঃ প্রশ্নবোধক চিহ্নসহ জটিল কিছু অংক।

কাহিনী সংক্ষেপ
গল্পের শুরু ব্যাচেলর সিহাবকে দিয়ে। মনমেজাজ ভালো থাকলে গায়ে হাওয়া বাতাস লাগিয়ে ব্যস্ত শহরের রোদ্রতপ্ত দুপুরেও যার রিকশায় চড়ে বেড়াতে খারাপ লাগে না, তার পরিচয় হয়ে গেল শিলা নামের একটি মেয়ের সাথে। শিলা স্থূলদেহী, ফর্সা ও চঞ্চল ধরনের মেয়ে। প্রথমে শারীরিক গড়নের কারণে শিলাকে আন্টি-খালাম্মাদের দলে ফেললেও ধীরে ধীরে গল্পের ভাঁজে সখ্যতা গড়ে ওঠে।
যে সিহাব ও শিলার মাঝে পরিচয় করিয়ে দিল, সে আর কেউ নয়, শিলার কলেজ পড়ুয়া ছোট বোন মিলি। সিহাবের গানের প্রতিভা তাকে মুগ্ধ করে। মনের ভালো লাগার কথা সে প্রকাশ করে। এ সম্পর্কের পরিণতি ভাঙা-গড়ার ব্যবধানে পূর্ণতা পায় এক জটিল আখ্যানের।
শিলা পুরুষবিদ্বেষী। তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না ঘটলেও ছেলেদের সে একদম দেখতে পারে না। তারমতে, ছেলেরা সব স্বার্থপর, প্রতারক। শিলার মধ্যে মোহনীয়তা বা রুপ-লাবণ্যের কিছুই ধরা না পড়লেও, কোনো এক অজানা কারণে রাগলে তাকে বেশ মানায়। আর ভাবগম্ভীর মুখের চাহনিতে মুগ্ধ হয়েই সিহাব পুরুষের তাড়না অনুভব করে যে, শিলার ভেতরে পুরুষবিদ্বেষ কাটানোর চ্যালেঞ্জ সে গ্রহণ করবে। মূল কাহিনীর সুত্রপাত এখান থেকেই।
সিহাব কী সফল হবে? সম্পর্কের এক পর্যায়ে সিহাব পাড়ি জমায় বিদেশ। ফিরে এসে শিলাকে খুঁজে পায় এক সন্তানের জন্মদাত্রী হিসেবে। কে এই শিশু? বের হতে থাকে একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
পাঠ পর্যালোচনাঃ
নারী-পুরুষের মন ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। কখনো দূর থেকেই মন দেয়ানেয়ার পাঠ চুকে যায়। তো কখনো সারাজীবন কাছে থেকেও দূরের মানুষ হয়ে থাকতে হয়। কিন্তু শিলা-সিহাব-মিলির হিসেবটা একেবারেই ভিন্ন। সবাই জানে কে কাকে ভালোবেসেছে, আবার কেউ জানে না আসলেও মন কী চায়!
সিহাব একনিষ্ঠ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ শিলার অহংকার ও পুরুষবিদ্বেষী মনে বিভাজন সৃষ্টি করে পুরুষকেন্দ্রিক করে তোলা। সিহাব সেখানে কতখানি সার্থক তা ঠিক বোঝা না গেলেও শিলার মনে প্রেমের জোয়ার এসেছিল। কিন্তু পুরুষের প্রতি যে বিদ্বেষ তা কতখানি কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল, তা শিলার কথার ভাষায় বোঝা যায় না।
হাতেগোনা কয়েকটি চরিত্র বেশ গুছিয়ে সাজিয়েছেন লেখক আইয়ুব আহমেদ দুলাল। নতুন করে অপ্রয়োজনীয় চরিত্রের সমাবেশ নেই। নেই বানান বিভ্রাট। প্রতিটি বাক্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে নতুন নতুন শব্দ যোগ করেই এগিয়েছেন। যা বেশ প্রশংসনীয়। একই কথার পুনরাবৃত্তি নেই। ঝরঝরে লেখা। খুব অল্পসময়ের মধ্যেই পুরো উপন্যাসটি পড়ে শেষ করা যায়।
গল্পটির সাথে বর্তমান সময়ের একদল মানুষের জীবনের খুব মিল রয়েছে। নারীর সৌন্দর্য পুরুষের কাম্য। তবে সৌন্দর্যবিহীন নারী কখনও পুরুষের খেলনা বা পণ্য রুপে গণ্য হয়। আবার সমাজে সেই নারীই কখনও উত্তরাধিকার তৈরির যন্ত্র। নারীর নিজের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। হ্যাঁ, আছে। সমাজে তা গৃহিতও হয়। যদি রুপলাবণ্যে কেউ ধরা দেয়। গল্পের মূল বিষয়বস্তু এমনই।
ব্যাচেলর লাইফের কঠিন জীবনকে উপেক্ষা করে পুরুষ ফ্যান্টাসি খুঁজে বেড়ায় তার অভিরুচির উপর ভিত্তি করে। আর নারী খুঁজে বেড়ায় একটা পরিচয়। একই মায়ের পেটের বোনের মাঝেও চিন্তাভাবনা ও রুচির কত অমিল। কিন্তু ভালোবাসার ক্ষেত্রে দুজনেই খুঁজে বেড়ায় আপনজন।
পুরো গল্পে ছলচাতুরি, বন্ধুত্ব, বিবাহ, প্রেম, পরিণয়, পরিণতির জটিল সমীকরণগুলো দেখানো হয়েছে। যদিও স্বল্প পরিসরে, কিন্তু পাঠকের জীবনবোধের উপর তা পরিব্যপ্ত। শিলা ও মিলির মাঝে বোনের ভালোবাসার কমতি নেই। মনের ডাকে সাড়া দিতেই দুজন যোজন যোজন দূর। কেউ সাংসারিক হয়ে গড়ে নেয় জীবন, তো কেউ নিজের পরিচয় খুঁজতে মরিয়া।
নারীপুরুষ একজন চায় অপরজন তাকে আগে ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে বলুক। এই সমীকরণ শুধু জিতে থাকাতেই মিলে না। মিলে যায় হেরে যাওয়াতে। এই হার মানা হার কে কার গলায় পরাবে এই চূড়ান্ত পরিণতি বদলে দেয় তিনটি মানুষের জীবন। এখানেই গল্পের সার্থকতা।
সামাজিক প্রেক্ষাপটে উপন্যাসে রহস্য, অস্থির সংকল্পতা ও রম্য ঠাই পেয়েছে। উপন্যাসের নামের রহস্য মুগ্ধ করেছে। এক টুকরো বিচিত্র জীবনের প্রতিচ্ছবি।
প্রিয় লাইনঃ ‘দূর থেকে কখনো ভালোবাসা হয় না। তবে কখনো কখনো হয়। ভেরি রেয়ার। তবে সেই যুগ আর নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *