মৃতেরাও কথা বলে উপন্যাস pdf Download free link:
আরো পড়ুন-
বইটিতে অনেকগুলো গল্পই একটু “ঘন”; আরেকটু হাত খুলে লেখা হলে ভালো হতো। শেষ গল্পটি, “মইদুল ইসলামের শেষ তিন উপন্যাস”, পড়ে সেটার লয়ে স্বস্তি পেয়েছি। নামগল্প “বানিয়ালুলু”র সার ধারণাটি চমৎকার, কিন্তু পড়তে গিয়ে সবিকল্প ইংরেজি শব্দের কাঁটা বারবার পায়ে-গলায় বিঁধেছে। আরো কয়েকটা গল্প পড়ে মনে হয়েছে লেখক গল্পে ব্যবহৃত নানা ধারণা ইংরেজি ভাষায় লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ থেকে পেয়েছেন, এমনকি এখানে-ওখানে ইংরেজিতে গল্প ভেবেছেন, শেষে বাংলা গদ্যে সেগুলো ঠিকমতো ফুটে ওঠেনি। অথচ বাংলা গদ্যে লেখকের দখলও চমৎকার। কল্পবিজ্ঞান গল্পে একটু খটোমটো বা অপরিচিত ধারণাকে ইংরেজিতে রেখে না দিয়ে বাংলায় লিখলেও চলে; এ ব্যাপারে তাঁর সাধ্য থাকার পরও হয়তো সাধের অভাব আছে।
বিভূতি বাবুর অমর সৃষ্টি ‘পথের পাঁচালী’ আর ‘অপরাজিত’। অপুর গল্প। নিশ্চিন্দিপুর থেকে অপুর যাত্রা শুরু হয়। বহু পথ,গলি,মানুষ দেখে সে আবার ফিরে আসে নিশ্চিন্দিপুরে। একা নয়,সাথে থাকে কাজল-অপুর একমাত্র পুত্র…
এর পরের গল্পটা শুধু অপুর নয়,কাজলেরও। বাবার সব গুণ নিয়ে ছেলেটি পৃথিবীর পথে হাঁটে। ছেলেবেলায় অপু যেমন বনে ঘুরে বেড়াতো,কাজলও তেমনি পিঁপড়ের হেঁটে যাওয়া দেখে। অপু ততদিনে বিখ্যাত। বই লিখে সে পেয়েছে পরিচিতি। নতুন সংসার পেতেছে। এর মাঝে কাজলের বেড়ে ওঠা।
মৌপাহাড়ি-তে নতুন বাড়িতে উঠে যায় অপু,পেছনে পড়ে থাকে নিশ্চিন্দিপুর। অপু মারা যায়,কাজল নিতান্ত শিশু। বাবাকে অনুভব করে শিরায় শিরায়। কাজল বেড়ে ওঠে,জীবনের মানে খোঁজে। রামদাস বৈষ্ণব এর গান শোনে। নতুন মা হৈমন্তী-কে নিয়ে নিশ্চিন্দিপুরে আবার ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে…
‘কাজল’-উপন্যাসটি লিখেছেন বিভূতি-তনয় তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতার সঙ্গে তাঁর তুলনা করতে যাওয়া অবান্তর। পাঠক হিসেবে তাঁর রচনায় আমি সন্তুষ্ট। পড়তে পড়তে বারবার মনে হয়েছে বিভূতিভূষণের জীবনটা চোখের সামনে দেখছি। অপু তো আসলে তিনি নিজে