হারকিউলিস রহস্য মুহাম্মাদ ইব্রাহীম বই রিভিউ

রহস্য hercules rohoshyo pdf
বইয়ের নামঃ হারকিউলিস রহস্য (hercules-rohoshyo pdf)
লেখকঃ মুহাম্মাদ ইব্রাহীম
ধরণঃ গোয়েন্দা উপন্যাস
প্রচ্ছদঃ মোঃ আবিদ মিয়া
প্রকাশনীঃ অবসর প্রকাশনা সংস্থা
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০২১
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১১২ টি
মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা
‘ধর্ষণ’ এই শব্দটা শুনলেই কমবেশি সবার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। ‘ধর্ষণ’ পৃথিবীর নিকৃষ্ট শব্দগুলোর মধ্যে একটি। ‘ধর্ষণ’ একটা মেয়ে সুন্দর, সাজানো গুছানো জীবনটাকে অগোছালো করে দেয়।

dir="auto">‘হারকিউলিস রহস্য’ বইটি লেখক উৎসর্গ করেছেন ২০১৬ সালে ধর্ষিত হওয়া তনুকে। যাকে তিনি নিজের বোন হিসেবে সম্মোধন করেছেন।

‘হারকিউলিস রহস্য’ মূলত ধর্ষণ এবং ধর্ষণকারীদের হত্যার রহস্য।এসব ধর্ষকদের হত্যা করছে ‘হারকিউলিস’ নামের কেউ।দেশের বড় বড় ডিএমপি কমিশনার,গোয়েন্দা বিভাগের লোক,পুলিশ কেউ ‘হারকিউলিস’ কে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন না।তখন সেখানে ডাক পড়ে ‘কবি সাহেবের’।’কবি সাহেব’ যিনি একজন লেখক হলেও শখের বশে বর্তমানে টুকটাক গোয়েন্দাগিরি করছেন।কিন্তু শখের বশে হলেও তিনি তার তুখোড় বুদ্ধি দিয়ে ঠিকই আগের দুটো কেসের রহস্য সমাধান করতে পেরেছিলেন।এবারও কি কবি সাহেব তার বুদ্ধি প্রয়োগ করে হারকিউলিসের রহস্য সমাধান করতে পেরেছিলেন? পেরেছিলেন কি হারকিউলিসকে ধরতে?পেয়েছিলেন কি হারকিউলিসের আসল পরিচয়? নাকি এবার ব্যর্থ হলেন তিনি?এছাড়াও ‘হারকিউলিস রহস্য’ তে উঠে ধর্ষিতার পরিবারের অবস্থা,একজন ধর্ষিতার ভাই,বাবা,বোন,মেয়ে,স্বামীর মনের অবস্থা।
পাঠ-প্রতিক্রিয়ারঃ ‘হারকিউলিস রহস্য’ অসাধারণ একটা গোয়েন্দা উপন্যাস। লেখকের বই আগে কখনো পড়া হয়নি এই প্রথম পড়লাম। ‘হারকিউলিস রহস্য’ গোয়েন্দা কবি সাহেব সিরিজের তৃতীয় উপন্যাস। কাহিনী প্রথম থেকেই স্ট্রং এবং গোছানো ছিল।সংখ্যা অনুযায়ী যেভাবে ভাগ ভাগ করে দেওয়া আছে সেটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়া টাইমিং টা একদম পারফেক্ট ছিল,হুট করেই সময় বা জায়গা পরিবর্তন করেনি।চরিত্রগুলো বর্তমানে কোন জায়গায় আছে এবং কিভাবে সেখানে পৌঁছেছে সেটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করার কারণে চরিত্রগুলোর অবস্থা পরিষ্কারভাবে বোঝা গিয়েছে।
প্রথম দিক থেকে সবঠিক থাকলেও শেষের দিকে কেন যেন মনে হলো রহস্যের সমাধান একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো। রহস্য সমাধানটা আরেকটু ইন্টারেস্টিং ভাবে হতে পারতো বলে মনে হয়।এছাড়া বাকি সবঠিক আছে।বইয়ের নাম ‘হারকিউলিস রহস্য’ দেওয়াটা আমার মতে স্বার্থক হয়েছে। কিন্তু কীভাবে সেটা আমি বলবো না।নাম স্বার্থক হওয়ার কারণটা নাহয় আপনারা বই পড়েই জানলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *