বেলা ফুরাবার আগে বই থেকে আরিফ আজাদের ২২ টি উক্তিঃ
১/বিস্মৃত অন্তরকে নতুন করে জাগাতে,মরচে ধরা ঈমানকে ঝালাই করতে,অবাধ্যতার অন্ধকার থেকে আমাদের তুলে আনতে অনেক সময় একটি লাইনও যথেষ্ট হতে পারে।
২/মানুষ হিসেবে আপনার অবশ্যই জানা উচিত এই দুনিয়া আপনার জন্য কখনোই নির্মল আর নির্ঝঞ্ঝাট হবে না।
৩/জীবনের একটা পরম বাস্তবতা হল জীবন কখনোই রেল লাইনের মতো সমান্তরাল হয় না।
৪/স্বয়ং নবীজীকে যেখানে সমালোচনার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে,সেখানে আপনি বা আমি কিভাবে ধরে নিতে পারে যে আমাদের সমালোচক থাকবে না? নিন্দুক থাকবে না?
৫/মন খারাপের দিনগুলোতে আল্লাহর সাথে বেশি বেশি কথা বলুন-কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে, সালাতের সিজদার মধ্যে।
৬/মানুষের একটা বৈশিষ্ট্য হলো সে নিজেকে সবসময় নির্ভুলতার আসনে দেখতে পছন্দ করে।
৭/চোখ ধাঁধানো এই কর্পোরেট দুনিয়া আসলে আস্ত একখন্ড নরক।
৮/সুখ আসলে শারীরিক নয়,আত্মিক।আত্মার পরিতৃপ্তির হলো সুখের কারণ।
৯/আমাদের আত্মার যে খোরাক তা যদি আমরা লাভ করতে না পারি,তাহলে আমাদের সুখী হওয়াটা একটা নিছক অভিনয় মাত্র।সুখ নয়।
১০/আজকাল মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি ছেড়ে এমন সব বিষয়ে সুখের সন্ধানে ব্যস্ত,যেখানে আদতে মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই নেই।
১১/আজকের দুনিয়ায় অসুখী হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ সম্ভবত এই দুনিয়াপূজাই।
১২/প্রতিটা খারাপ কাজ আরো অনেকগুলো খারাপ কাজের কারণ।প্রতিটা মিথ্যা কথা আরো অনেকগুলো মিথ্যা কথার জনক।প্রতিটা অসততা আরো অনেকগুলো অসততার সূত্রপাত।
১৩/পাপ একপ্রকার সংক্রামক।সেটা ছড়িয়ে পড়ে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে।
১৪/সব চলে যাওয়াই প্রস্থান নয়।
১৫/সাদকায়ে জারিয়া একটি চলমান সাওয়াব ব্যাংকের নাম।
১৬/জীবন আসলে একটি মরীচিকার নাম যেখানে মৃত্যুই হল ধ্রুব সত্য।
১৭/অতিশয় সত্য কথা হল এই মৃত্যুর ব্যাপারে আমরা চূড়ান্তরূপে উদাসীন।
১৮/আমাদের অন্তরকে মসজিদের সাথে বেঁধে ফেলার একটি শর্ত হলো পাপ থেকে মুক্ত থাকা।
১৯/আমরা এমন ভাবে বাঁচি যেন মৃত্যু কখনোই আমাদের স্পর্শ করবে না।
২০/মুসলিম হিসেবে আমাদের নিত্যদিনকার ব্যর্থতা শুরু হয় ফজর থেকে।
২১/এখন আমাদের জীবনে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার অনুপস্থিতি তা হলো দুআ।
২২/দুনিয়ায় প্রাপ্ত বড় একটি নিআমত হলো মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করা।