কাসাসুল আম্বিয়া pdf free download – pdf bangla link (এখানে লিংকটিতে ঢুকলে পাবেন)
তবে বান্দার মধ্যে কে তীর অনুগত ও কে তাঁর অবাধ্য তা যাচাই করার প্রয়োজনে যদিও অসত্য পথ এবং শয়তান সৃষ্টি হয়েছে, তবু বান্দা শয়তানের প্ররোচনায় মন্দ পথ অবলম্বন করুক এ আল্লাহর কাম্য নয়। আর তা নয় বলেই আল্লাহ পাক বান্দাকে সৎপথে পরিচালনা ও অসৎ পথ হতে ফিরিয়ে আনার জন্য অসংখ্য নবী- রাসূলকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এদের মধ্যে সর্বপ্রথম নবী হযরত আদম (আ), যিনি একদিকে যেমন প্রথম নবী তেমনি সমগ্র মানব জাতিরও প্রথম ব্যক্তি। তীর দ্বারাই পৃথিবীতে মানব-বংশ বিস্তার লাভ করেছে। ইনি যেমন প্রথম নবী, হযরত মুহাম্মদ (স) তেমনি সর্বশেষ নবী । তীর পরে পৃথিবীতে কোন কেউ নবী বা রাসূল হিসেবে প্রেরিত হননি এবং কিয়ামত পর্যস্ত হবেনও না। হযরত মুহাম্মদ (স) কেবল শেষ নবীই নন; বরং সমস্ত নবী ও রাসূলগণের সরদার এবং সর্বশ্রেষ্ঠ । তাই তীর দুটিই পরিচয় এবং দুটি পরিচয়ই স্বয়ং আল্লাহ কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে। তার একটি হল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন অর্থাৎ রাসূলগণের সরদার আর অন্যটি হল খাতামুন্নাবিয়ীন অর্থাৎ নবীগণের সরশেষ ব্যক্তি। তার সম্মান এবং মর্যাদা অতুলনীয় ।
দুনিয়ার আদি হতে অন্ত পর্যন্ত কোন মানুষই তার সাথে তুলনীয় নয়। তিনি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব । শুধু এতটুকুই নয়, স্বয়ং আল্লাহ তাঁকে লক্ষ্য করে বলেন যে, “আমি যদি তোমাকে সৃষ্টি না করতাম তবে কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না।’ এর দ্বারা পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি কেবল মাত্র মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য নন; বরং সকল বস্তু সৃষ্টিরই উদ্দেশ্য তিনি। অর্থাৎ তাকে সৃষ্টি না করলে অন্য কোন কিছুই কোন দিন সৃষ্টি হতো না। নবীদের দায়িত্ব ও গুরুত্ব হিসেবেও তীর মর্যাদা অধিক। কেননা, যে কোন নবী বা রাসূল আল্লাহর দ্বীন প্রচার করতেন কোন একটি রাজ্যে কিংবা বিশেষ কোন সীমিত এলাকায় । পক্ষান্তরে, আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (স) আল্লাহর ধর্ম প্রচার করতে এসেছিলেন সারা পৃথিবীতে । এ জন্যই তাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে বিশ্বনবী । সমথ মানবকুলে তিনি আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়। মহান নবী (স)-এর অন্যতম শ্রেষ্ট বৈশিষ্ট্য হলো, এ পৃথিবীতে হযরত আদম (আ) সর্বপ্রথম নবী এবং প্রথম ব্যক্তি হলেও তা দুনিয়াবী দৃষ্টিতে অর্থাৎ পৃথিবীতে তিনি সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়েছেন। পক্ষান্তরে, প্রকৃত প্রথম মানব, শুধু মানবই বা বলি কেন; বরং সৃষ্টিকুলের প্রথম সৃষ্টি হলেন হযরত মুহাম্মদ সে)। অর্থাৎ যখন আল্লাহ পাকের মাখলুকাত সৃষ্টির ইচ্ছা জাগল, তখন নিজের নূর হতে সর্বপ্রথম হযরত মুহাম্মদ (স)-কে সৃষ্টি করে নিজের খুব নিকটেই রেখেছিলেন। এরপর তীকে পৃথিবীতে ধরেরণ করেছেন সকল নবী ও রাসূলগণের শেষে । উদ্দেশ্য এ যে, আল্লাহ্ পাক তীর ছারা স্বীনী বিধানসমূহ পরিপূর্ণ করে নবী-রাসূলদের মধ্যে তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ আসন দান করবেন।
অধ্যায়-__১ আদম (আ)-এর নাম আবু মুহাম্মদ কেন. আদমের নূরে মুহাম্মদী দর্শন:
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত আদম (আ)-কে সৃষ্টি করে সকল জ্ঞান শিক্ষা দান করলেন। জ্ঞান লাভ করার পর তিনি আল্লাহর নিকট আরজ করলেন, হে মাবুদ! আপনি আমার কুনিয়েত আবু সুহাম্মদ অর্থাৎ মুহাম্মদের পিতা নাম রাখলেন কেন? এর ভেদ তো কিছুই বুঝলাম না। আল্লাহ তায়ালা বললেন $ হে আদম! উপরে তাকিয়ে দেখ। আদম (আ) তখন মাথা তুলে আরশে মুআল্লার দিকে তাকিয়ে তার পর্দায় নৃরনবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর নূর দেখলেন। তা দেখে হযরত আদম (আ) জিজ্ঞেস করলেন, হে মাবুদ! তা কার নূর দেখছি? আল্লাহ তায়ালা জবাবে বললেন, হে আদম! তা তোমার সৃন্তানদের মধ্যে জনৈক নবীর নূর । আসমানে সে আহমদ নামে পরিচিত এবং পৃথিবীতে তার নাম হবে মুহাম্মদ (স)। যদি তাকে আমি সৃষ্টি না করতাম তা হলে আমি তোমাকে আসমান ও যমিনকে সৃষ্টি করতাম না।