এই পোস্টটি আপনাদের জন্য আমি ৭টি মুরগি পালন বই Pdf Download লিংক নিয়ে হাজির হয়েছি।
১। উন্নত পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন PDF Download
২। সম্ভাবনাময় দেশীয় জাতের মুরগি পালন PDF Download
৩। লেয়ার মুরগি পালন প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল- Link
৪। লেয়ার মুরগির লাইটিং শিডউল –Link
৫। বািণিজক লয়ার মুরিগর টিকাদান কমসূচী (ভ্যাকসিন সিডউল)- Link
৬। মুরগি ডিম পাড়ার পর ডিম খাওয়ার কারণ ও সমাধানের উপায়- Link
৭। একসাথে ডাউনলোড করুন- Link
৮। প্রাণিসম্পদ ম্যানুয়াল PDF Download
মুরগি খামার দুই ধরনের হতে পারে। যেমন- পারিবারিক মুরগি খামার ও বাণিজ্যিক মুরগি খামার । পারিবারিক মুরগি খামারে অল্পসংখ্যক মুরগি পালন করে সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে বাণিজ্যিক মুরগি খামার গড়ে তোলা যায়। উৎপাদনের উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে মুরগির খামার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে ।
মাংস উৎপাদনের জন্য মুরগি পালন করলে একে বলা হয় ব্রয়লার খামার, আবার ডিম উৎপাদনের জন্য খামার করলে একে বলা হয় লেয়ার খামার । তবে যে খামারই স্থাপন করা হোক না কেন তা লাভজনক করতে চাইলে প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিকল্পনা, বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা ও সঠিক পরিচালনা । নিচে সেসব বিষয় আলোচনা করা হলো। মুরগির খামার একটি স্থায়ী ব্যবস্থা । খামার বলতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মুরগি প্রতিপালন করার জন্য নির্দিষ্ট স্থানকে বোঝায় । মুরগির খামার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন ডিম উৎপাদন খামার, মাংস উৎপাদন খামার, প্রজনন খামার, ব্রিডার খামার, বাচ্চা উৎপাদন খামার ইত্যাদি । যে ধরনের মুরগি খামারই স্থাপন করা হোক না কেন সাফল্যজনকভাবে খামার পরিচালনার জন্য এর স্থান নির্বাচন/একটি গুরুত্পূর্ণ বাণিজ্যিক কৌশল । হবে ।
যেমন- * খামারের স্থান উঁচু হওয়া উচিত। খামার এমন স্থানে গড়তে হবেযেখানে বন্যার পানি কখনো প্রবেশ করতে পারবে না। * যে স্থানে খামার করা হবে সেখানকার মাটি বালু ও কীকর মিশ্রিত হতে হবে এবং মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা থাকতে হবে। * খামার স্থাপনের জন্য নির্বাচিত স্থানে পানি নিষকাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে। হতে হবে। * যে স্থানে খামার করা হবে সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হতে হবে। মানুষের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত মূলপথ থেকে অন্তত আধা কিলোমিটার দূরে খামারের স্থান নির্বাচন করা উচিত। * যেখানে খামার করা হবে সেখানে বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। * খামারের স্থান নির্বাচনের সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন আশপাশে সস্তায় ও সহজে মুরগির খাদ্য ক্রয় করার সুযোগ-সুবিধা থাকে ।
খামারে উৎপাদিত পণ্য, যেমন- ডিম, মুরগি ইত্যাদি সহজে বাজারজাতকরণের সুযোগ থাকতে হবে। * খামার স্থাপনের জন্য নির্বাচিত স্থানের মূল্য তুলনামূলকভাবে কম কি না সেটাও বিবেচনা করতে হবে। যে কোনো খামার বা শিল্পে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা লাভের জন্য চাই সুষ্ঠু পরিকল্পনা । বাণিজ্যিক মুরগি খামার ব্যবস্থাপনায় তিনটি. মৌলিক চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা বিধান করতে হয়, যথা- ১. মুরগির খাদ্য, ২. বাসস্থান ও ৩. রোগ দমন । মুরগির খামার একটি বিশেষ ধরনের শিল্প। তাই এ খামার প্রতিষ্ঠার জন্য মূল বিষয় ছাড়াও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো বিশেষ বিবেচনায় রাখতে বিবেচনা করতে হবে। জমির পরিমাণ : বার্ষিক যত-সংখ্যক ডিম/বয়লার উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে তদনুষায়ী লেয়ার/বয়লার প্রতিপালনের ঘর এবং অন্যান্য সুবিধা, যেমন- অফিস, শ্রমিক ঘর, খাদ্য গুদাম, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের ঘর, সংরক্ষণাগার ইত্যাদি তৈরির জন্য মোট জায়গার সঙ্গে আরও প্রায় ১.৫ গুণ ফীকা জায়গা যুক্ত করে খামারের মোট জমির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
মুরগির বাসস্থান : নিরাপদ ও আরামে থাকার জায়গার নাম বাসস্থান। বাসস্থান নিরাপদ রাখতে হলে নির্বাচিত স্থানের উপযোগী দ্রব্যসামগ্রী দিয়ে তা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ঝড়-ৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহজে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বাসস্থানের অভ্যন্তরীণ চাহিদা, যেমন_ পরিমাণমতো থাকার জায়গা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক খাদ্য ও পানির পাত্র, তাপ ও আলো এবং বায়ু চলাচলের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।
পালনকারীর সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে ঘর পাকা, কীচা বা টিনের হতে পারে । প্রজাতি ৰা স্ট্রেইন অনুযায়ী যতগুলো মুরগি রাখা হবে এদের মোট জায়গার পরিমাণ হিসেব করে ঘর তৈরি করতে হবে ।
পাশাপাশি দুটি ঘরের মাঝে ২৫-৩০ ফুট বা ততোধিক জায়গা আলো ও মুক্ত বাতাস প্রবাহের জন্য খালি রাখা দরকার।