বসিরাতে খাতামুল আম্বিয়া pdf download ও বই রিভিউ-
ললেন, আল্লাহ্র কসম, খাজা হাসান বস্রী (রঃ) যে-ধরনের কথা বলতেন, সেরূপ কথা বলার মানুষই তো আমি দেখিনি । বল, তাহলে তাঁর মত আমলদার দেখতে পাওয়া কিভাবে সম্ভব হতে পারে? শোন, হাসান-বস্রী (রঃ)-এর ওয়াষ্ মানুষের অন্তরকে পর্যন্ত কাঁদিয়েছে ; আর অন্যদের ওয়ায চর্ম-চক্ষুকেও কাঁদাতে ব্যর্থ হয়েছে। কেউ হযরত ইয়াহ্ইয়া বিন মুআয্ (রঃ)-কে প্রশ্ন করেছিল যে, মানুষ এখ্লাছের অধিকারী হয় কখন? বললেন, যখন কারুর অবস্থা দুগ্ধপোষ্য শিশুর মত হয়; প্রশংসা ও দুর্নাম তার কাছে বরাবর হয়ে যায়।
না নিজের প্রশংসা শ্রবণে ফুলে ওঠে, না কোন দুর্নামের পরোয়া করে। আবু আবদুল্লাহ্ আন্তাকী (রঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি একদিকে নিজের আমল সমূহ এখুলাছপূর্ণ করতে আগ্রহী, সমস্ত আমল আল্লাহ্র সন্তোষে নিবেদিত হোক তা কামনা করে, আরেকদিকে প্রদর্শনগ্রীতি ও সুনাম-সুখ্যাতি লাভের ইচ্ছাও পোষণ করে মনের মাঝে, মূলতঃ সে অসম্ভবকে সম্ভব করার ভ্রান্ত-স্বপ্নে বিভোর হয়েছে। কারণ, এখলাছ হচ্ছে সেই “পবিত্র পানি*যুদৃদ্ধারা অন্তরের “জীবন” লাভ হয় । আর রিয়া ও প্রদর্শন-লিন্সা হচ্ছে জীবন্ত অন্তরের মৃত্যু ৷
(জীবন ও মৃত্যুর সমবয় সাধন কিভাবে সম্ভব?) হযরত ইবনে সিবাত্ রেঃ) বলতেন, আমি যখনি আমার আমলের হিসাব করেছি তখনি দেখেছি যে, আমি একটা আস্ত রিয়াকার ব্যতীত আর কিছুই নই। হযরত হাসান বস্রী রঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন মাহৃফিলে-মজলিসে নিজেকে খারাপ জন” বলে প্রকাশ করলো, বন্তৃতঃ সে নিজের প্রশংসাই বর্ণনা করলো এবং তা রিয়াকারীরই একটি আলামত্। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক রেঃ) বলেন, এমনও মানুষ আছে যে পবিত্র কা’বা-ঘরের তাওয়াফ করে এবং তা খোরাসানের অধিবাসীদের দেখাতে থাকে । লোকজন প্রশ্ন করলো, তা আবার কিভাবে? বললেন, লোকটি মনে মনে কামনা করে যে, “খোরাসানবাসীরা অবগত হোক এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে একথা আলোচিত হোক যে, অমুক ব্যক্তি তাওয়াফ ও সাঈর ইবাদতে মক্কায় পড়ে আছে; তার এ শুভকাজ মোবারক হোক; ইশৃ! লোকটি কত সৎ, কী নেক্! ইত্যাদি।” হযরত ইবরাহীম ইবনে আদহাম (রঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যদের কাছ থেকে সুনাম-সুধারণা কামনা করে, সে কখনও না মোখলেছ হতে পারে, না
সহজ কাসাসুল আম্বিয়া Pdf download LINK-