বইয়ের নাম: আলোর গন্ধ স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Pdf Download
কনভারশন কথাগুলো আমাকেই বলে, তবু কেন জানি না আমার মনে হয় ও নিজেকেই এসব বোঝায়। আমি বলি, “এভাবে ফ্রাস্টু খেয়ে মাঠের ঘাস ছিড়ে কোনও লাভ নেই বস। লিভানো তো তোকে বলেই দিয়েছে, ও ভাবতেই পারে না বিরূপাক্ষ নামের কোনও ছেলে ওর বয়ফ্রেন্ড হতে পারে!” বিরূপাক্ষ নিজেও অবশ্য এটা মানে। এই জন্য নিজের ঠাকুরদার উপর ওর একটা রাগও আছে। ওর মতে, ঠাকুরদা এরকম একটা নাম রাখার জন্যই লিভানো ওকে পছন্দ করে না। সেই কারণে মাঝেমধ্যে প্রতিশোধও নেয়। কুকুরকে দিয়ে অনেক সাধ্যসাধনা করে চিবিয়ে রাখে। ঠাকুরদার ভেজানো দীতের মধ্যে যত্ব করে ঢেলে দেয় সুলেখা ব্লুর্যাক।
আর ফাক পেলেই আমার কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করে। পুজোর পরেই আমাদের প্র্যাকটিস শুরু হয়ে যায়। স্কুলের লাগোয়া মাঠে নেট লাগিয়ে ক্রিকেট চলে। আমি খেলিও না, টিমেও নেই। তবে কর্মকর্তা টাইপের হাবভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াই। বেমক্কা উঠে আসা বলে ব্যাটসম্যান থতমত খেলেও বলি, গুড শট। আমাদের বিরূপাক্ষ একটু ওপেনার গৌোছের। মানে, স্যারের অভিমত তাই আর কী। রনিই হল স্যারের প্রথম পছন্দের ওপেনার। রনি লম্বা, স্মার্ট, ভাল গিটার বাজায়। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, রনি মাঝে-মাঝে লিভানোকে ভবল ক্যারি করে বাড়ি পৌছে দেয়। বিরূপাক্ষর মতে, পৃথিবীর সীমানায় থাকার অধিকার রনির নেই। অবশ্য রনি সরাসরি বিরূপাক্ষর কোনও ক্ষতি করেনি কখনও, শুধু মাঝে- মাঝে একটু পিছনে লাগে। বিরূপাক্ষের দৃঢ় ধারণা, অজিত স্যার পারশিয়ালিটি করেই রনির বদলে ওকে খেলান না। আজকাল এই কথাটা ও প্রায়ই বলছে। আর বলছে, একদিন মজা দেখাবে। কী মজা? কখনও বলে, পাম্প খুলে দেবে, আবার এ-ও বলে, স্যারের চাকরিটাই খেয়ে নেবে। আমি একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম, “কী দিয়ে খাবি? ভাত দিয়ে, না রুটি দিয়ে?”