বই পড়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাঃ জ্ঞানার্জন বা আনন্দ বা চিন্তার প্রসারের কথা বাদই দিলাম, জীবনে যদি খুব ধনীও হতে চান। বই আপনাকে পড়তেই হবে। খুব ধনী বলতে আমি পাড়ার সলিমুদ্দির কথা বলছিনা, বলছি ওয়ারেন বাফেট বা বিল গেটস পর্যায়ের কথা। নজর উঁচু থাকা চাই!
পবিত্র কোরআন শরীফেই আছে, “যে জানে আর যে জানেনা, তারা কি এক হতে পারে? (সূরা আয-যুমার 9-10)।এমনকি পবিত্র কুরআনের প্রথম নাজিলকৃত শব্দটাই হচ্ছে ইকরা, “পড়ো”। Read.
আমি ছোটবেলায় হাতের কাছে আর কিছু না পেয়ে ডানোর ডিব্বার পেছনের লেখা পড়তাম কারণ খাবার সময় হাতে বই দেখলে আম্মু হাতের উপর চামচ দিয়ে বাড়ি দিত।
লম্বা সময় ধরে বই পড়তে ইচ্ছা করেনা?
বই পড়ার নিয়ম কৌশলঃ
দিনে পাঁচ পৃষ্ঠা পড়ুন, না হলে মাত্র এক পৃষ্ঠা, কিংবা একটা লাইন। হাতের কাছের বইটা উল্টে পাল্টে এক দুইটা শব্দ দেখুন, বা রঙচঙে কোনো পাতায় চোখ বুলান। সময় নিন, তাও অভ্যাসটা গড়ে তুলুন।
আমরা চিতাবাঘের মত দৌড়াতে পারিনা, গরিলার মত শক্তিশালী নই, হাতির মত বিশালদেহী বা কচ্ছপের মত দীর্ঘজীবীও নই। আমাদের সুপার পাওয়ার হচ্ছে মস্তিষ্ক। আর এই মস্তিষ্কের জ্বালানী হচ্ছে বই।
কি বই পড়বেন?
আর যদি আমার মত উম্মাদ হতে চান, দুটো বুক সিরিজ পড়ুন: উইল ডুরান্টের স্টোরি অফ সিভিলাইজেশন (১১ খন্ড) আর ফ্রেডরিক কপলস্টোনের হিস্ট্রি অফ ফিলোসফি(১১ খন্ড)।
পড়ুন মহাভারত, মসনভী, ওয়েলথ অফ নেশন্স, ক্যাপিটাল, অরিজিন অফ স্পেসিস, আর্ট অফ ওয়ার, অসমাপ্ত আত্মজীবনী(বঙ্গবন্ধু), মেডিটেশনস (মার্কাস অরেলিয়াস), আল মুকাদ্দিমা, দি আইডিয়া অফ জাস্টিস, রিপাবলিক, সিদ্ধার্থ, গ্রেপস অফ র্যাথ, তারাশঙ্করের কবি, মানিকের পদ্মা নদীর মাঝি, জহির রায়হানের হাজার বছর ধরে।
পড়ুন সুজন দেবনাথের হেমলকের নিমন্ত্রণ, গুঞ্জন রহমানের মহিমাগঞ্জ, মাহমুদুর রহমানের মোগলনামা, শাহরিয়ার স্বননের মধ্যযুগের বাংলা, রবিন জামান খানের মগরাজ।
বই পড়া অনুচ্ছেদ রচনাঃ
সব, সব পড়ুন। ওই যে বললাম, পড়াই পথ দেখাবে এক সময় কোনটা পড়বেন আর কোনটা ফেলে দেবেন সেটার।
বই আপনার ভেতরে বারুদের পাহাড়ের মত স্তুপকৃত অবিশ্বাস্য শক্তিশালী আত্মশক্তিতে আগুণের স্ফুলিঙ্গের স্পর্শ আনুক, জন্ম দিক চৈন্তিক মহাবিষ্ফোরণের।