সোনালি মুরগি পালন বই Pdf download (সবগুলো) – সোনালি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা Pdf

bookishbd সোনালি মুরগি পালন বই Pdf download সবগুলো 2

রোমানা ইয়াসমিনের লেখা ‘আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস-সোনালি মুরগি কোয়েল পালন ও চিকিৎসা’ বই pdf ভালো একটা বই। সাম্প্রতিক সময়ে হাঁস-মুরগি পালন একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় কৃষি শিল্প হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সঠিক পরিকল্পনায় হাঁস-মুরগির খামার স্থাপনের মাধ্যমে হাঁস-মুরগি পালনকে লাভজনক করে তোলা যায়। কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং বলকারক বিশেষজ্ঞরা বলেন, কবুতরের মাংসে সাধারণ অন্যান্য পাখির মাংসের চাইতে প্রোটিনের পরিমান বেশি। ফলে আমিষের পাশাপাশি প্রটিনের বাড়তি চাহিদা পূবণের জন্য ও কবুতরের মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। বানিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে অনেকেই অল্প সময়ে এটাকে লাভ জনক ব্যবসা হিসেবে দাঁড়া করাতে পেরেছেন।

সোনালি মুরগি পালন পদ্ধতি a to z রিভিউ

সোনালি মুরগি  ঘর,ব্যবস্তাপনা( টিকা,মেডিসিন,খাবার,লিটার,পরদা, ব্রুডিং),ওজন,বাচ্চার দাম, রোগব্যাধি,লাভ লস,কেন লাভ বা লস হয় বিস্তারিত:)
১০০০ মুরগির জন্য:
পুর্ব – পশ্চিম লম্বা হবে
দৈঘ্য ৪০ফুট*প্রস্ত ২০ফুট:৮০০ বর্গফুট
বা ৪৫*১৭:৭৬৫ বা ৩৫*২২:৭৯২
(৭৫০-৮০০)।
এভাবে নিজের মত করে মিলিয়ে বানাতে হবে,তবে প্রস্থ ২৫ ফুটের বেশি ভালনা,লম্বা যা খুশি করা যায়.
চারদিকে বাশ বেধে দিলে অনেক মুরগি বাশে বসতে পারে এতে ঘনত্ত কমে যায়।
উচ্চতা ৮-৯ ফুট ভাল তবে অধিকাংশ ৭-৮ ফুট,ফ্লোর পাকা ভাল কিন্তু কাচা হলে ইটের খোয়া এবং বালি, তারপর এটেল মাটি দিয়ে লেপে দিতে হবে. শুধু কাচা হলেও চলে।
ঘর তৈরির খরচ:
বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন খরচ করে ফার্ম করা যায়। আমি আমার হিসেব দিচ্ছি।
পিলার ১৬ টি ১৬০০০
কাঠ। ২০০০০
টিন। ২০০০০
পর্দা ৩০০০
মিস্ত্রি ৭০০০
নেট। ১০০০০
পাত্র,ব্রুডার। ৮০০০
মাটি কাটা ১০০০০
ইলেক্ট্রিকেল। ৪০০০
সিলিং ২০০০
সাইড ওয়াল ১০০০০
টোটাল:১১০০০০টাকা
১০০০ সোনালি মুরগি পালতে
খাবার লাগবে ৪০ ব্যাগ*১৯০০: ৭৬০০০
বাচ্চা১০০০*৩০: ৩০০০০
মেডিসিন :৭০০০
টিকা :২০০০
বিদ্যুৎ: ২০০০
লিটার ব:৪০০০
কর্মচারী :১০০০০
টোটাল: ১৩১০০০টাকা
৬০ দিন পর ৮০০ গ্রাম করে ১০০০-৫০ :৯৫০ টির ওজন ৭৬০ কেজি * ১৮০ টাকা দরে:১৩৬৮০০টাকা( ৫০ টা মৃত ধরে)
তাহলে লাভ:১৩৬৮০০-১৩১০০০:৫৮০০
যদি এমন হয়
কর্মচারী ছাড়া ১০০০০ টাকা সেভ হবে
খাবার নগদ। হলে ৪০০০ (বস্তা প্রতি ১০০ টাকা কম লাগবে)
লাভ নির্ভর করে বাচ্চার দাম,রেডি মুরগির দাম,ওজন বেশি আসার উপর মানে ৮৫০(৪৭ কেজি * ১৮০:৮৫০০টাকা গ্রাম, এবং ওষধ খরচ কমানোর উপর(৩০০০)
মুরগি যদি ৩০ টা কম মরে তাহলে ৩০*৮০০:২৪*১৮০: ৪৩২০ টাকা
বাচ্চার দাম যদি ৫ টাকা কম হয়২৫ টাকা হয় তাহলে ৫০০০ টাকা
সবকিছু ঠিক থাকলে লাভ হবে:৫৮০০+১০০০০+৪০০০+৮৫০০+৩০০০+৪০০০+৫০০০:৪০৩০০ টাকা
তাছাড়া রেডি মুরগির দাম যদি আরো ১০ টাকা বেশি হয় তাহলে লাভ বেশি হবে.
আবার ওজন অনেকের কম মানে ৭০০-৭৫০ আসলে লাভ কম বা লস হতে পারে।
আবার সমস্যা হলে ৫০০০০ টাকা লসও হতে পারে তাই সবকিছু মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করা উচিত.
তবে সঠিকভাবে পরিচালনা করলে লাভ বেশি না হলেও লস হবেনা( আল্লাহ যদি চায়)
টিকা:
১-৫ দিন। আই বি + এন ডি
৮-১২ দিন। গামবোরু( ডি ৭৮)
২০-২২ দিন। গামবোরু প্লাস (ডি ২২৮)
২৫-২৭ দিন। রানিক্ষেত
খাবার পাত্র: ১-৭ দিন ১০০টির জন্য ১ টি
পানির পাত্র ১০০টির জন্য ১ টি
প্রথম ১-২ দিন পেপারে খাবার দিতে হবে যাতে খাবার চিনতে পারে এবং লিটার যাতে খাবারে না পড়ে ও বাচ্চার জন্য সহজ হয়।
৩০ দিন পর্যন্ত ৪০ টির জন্য ১ টি খাবার পাত্র এবং ৫০ টার জন্য ১ টি পানির পাত্র।
৩০ দিন পর ৩০ টির জন্য ১ টি খাবার পাত্র
এবং ৪০ টির জন্য ১ টি পানির পাত্র।
খাবার এবং পানির পাত্র কিছু কম বেশি হতে পারে তবে বেশি দেয়াই ভাল বিশেষ করে বাচ্চা অবস্তায়।
ব্রুডিং:
বাচ্চা আসার আগে ঘরের তাপমাত্রা ৯৫’ ফারেনহাইট বা ৩৩’ সেন্টিগ্রেট করতে যা করার তাই করতে হবে.(স্টোভ,কাঠের গুড়ি দিয়ে তাপ, বালব,হারিকেন,কয়লা, হিটার,গ্যাস ব্রুডার)
আলাদা ব্রুডিং ঘর হলে ভাল হয় কারন গঠনগতভাবে ব্রুডিং ঘর আলাদা, সেখানে সাইড ওয়াল,পরদা নিচ হতে উপর পরযন্ত থাকে. তাছাড়া দুটি ব্যাচ পালা যায়.
ব্রুডিং এর তাপমাত্রা
১ ম সপ্তাহে ৯৫’ ফারেনহাইট
২ য় সপ্তাহে ৯০
৩ য় সপ্তাহে ৮৫
৪ থ সপ্তাহে ৮০
৫ ম থেকে শেষ পর্যন্ত ৭৫ ‘ ফারেনহাইট
খাবার এবং পানি:
খাবার হিসেবে সোনালি খাবার এবং ব্রয়লার খাবার দুটিই চলে,অনেকে ১৫-২০ দিন ব্রয়লার খাওয়ায় তারপর সোনালি,কেউ আবার দুইটা মিক্সার করে খাওয়ায়। কেউ শুধু সোনালি বা শুধু ব্রয়লার খাওয়ায়।
শুধু ব্রয়লার খাওয়ালে আমাশয় হওয়ার সম্বাবনা থাকে কারন এতে প্রোটিন এবং অন্য ভিটামিন বেশি থাকে।
সোনালি মুরগি ব্রয়লারের মত বাড়েনা,তাই তাদের খাবারটাও সেভাবে তৈরি করা হয়েছে মানে প্রোটিন কম দেয়া আছে।
১ ম ২ দিন ৪ ঘন্টা পর পর খাবার দেয়া উচিত এবং খাবার যাতে সব সময় থাকে তা নাহলে মুরগি ছোট বড় হয়ে যাবে।
৩-১০ দিন দিনে ৪ বার খাবার দিতে হবে এবং ১১ দিন থেকে দিনে ৩ বার খাবার।
৩০ দিন পর দিনে ২ বেলাও দেয়া যায়।
২০-২৫ দিন যতটুকু খায় ততটুকু খাবার কিন্তু ২৫ দিন পর প্রতি সপ্তাহে ৪-৬ গ্রাম করে বাড়াতে হবে,বেশি দিলে লাভ নেই।
গরমের সময় ঠান্ডা সময় মানে সকালে এবং বিকালে খাবার দিতে হবে।
কতদিনে কত ওজন:
৪৫ -৬০ দিনে ৭০০-৯০০ গ্রাম পর্যন্ত হয় আর খাবার খাবে ১০০০ মুরগিতে ৩৫-৪০ ব্যাগ। ওজন অনেকটা বাচ্চার মানের উপর নির্ভর করে। ইনব্রিডিং সমস্যার কারনে প্রায়ই বাচ্চার মান ভাল হয়না।
বাচ্চার দাম এবং রেডি মুরগির দাম:
বাচ্চার রেট ২০-৩০ টাকা, রেট উঠানামা করে,
রেডি মুরগির দাম ও উঠানামা করে ১৫০-২১০ টাকা তাই লাভ টা ও উঠানামা করে।
খাবারের দাম বাকিতে ১৯৫০-১৮০০ টাকা,নগদে ১৭৫০-১৯০০ টাকা।
ব্রয়লার খাবার দিলে ওজন টা তাড়াতাড়ি আসে।
রোগব্যাধি :
প্রধান রোগ হল: আমাশয়,গামবোরু, রানিক্ষেত, পক্স, এন্টারাইটিস, ক্যানাবলিজম।
তাছাড়া মাইকোপ্লাজমা এবং ব্রংকাইটিস।
টিপস:
ইনব্রিডিং
নিম্নমানের হ্যাচারী
অদক্ষ লোক দিয়ে হ্যাচারী চালানো
কোন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী নাই সব ই লোকাল
ব্রীডারের ব্যবস্তপনা ভাল না
ফলে বর্তমানে বেশি যে সমস্যা হচ্ছে
ওজন ভাল আসেনা
বেশি মারা যায়
( মেরেক্স,এ আই বেশি দেখা যাচ্ছে)
কখন কোন বাচ্চা ভাল না খারাপ তা বোজা যাচ্ছানা ফলে রিক্স বেড়ে যাচ্ছে।
মেডিসিন:
আমাশয় বেশি হয় তাই
১৩-১৫দিনে
২৩-২৫ দিনে
৩৫-৩৭দিনে মোট তিন বার আমাশয়ের ডোজ করা উচিত।
৩৫-৪০ দিনে কৃমির ডোজ করলে ভাল হয়।
অনেক সময় ঠোটে ছেকা দিতে হয় ৫-১২ দিনে।
ব্রুডিং এর সময় প্রথম দিন প্রবায়োটিক,ভিটামিন সি এবং গ্লোকোজ দেয়া যায় ,পরের দিন থেকে লাগলে এন্টিবায়োটক দেয়া যায়।
প্রতি সপ্তাহ ২ দিন করে প্রবায়োটিক দিলে ভাল হয় এতে পায়খানা ভাল থাকবে।
কেন লাভ হয়না কারন-
১. রেডি মুরগির দাম উঠানামা করে
২. ওজন কম আসা
৩. মুরগির ঘর সঠিকভাবে করা হয়না
৪. পালন সম্পর্কিত সঠিক ধারনা না থাকা
৫. রোগ বালাই
৬. বায়োসিকিউরিটি না থাকা
৭. বাচ্চা ভাল মানের না হওয়া
৮. টিকার মান এবং দেয়ার পদ্ধতি ভাল না হওয়া
৯. বাচ্চার দাম বেশি
১০. খাবারের দাম বেশি
১১. মুক্ত বাজারনীতি মানে দামের উপর সরকারের কোন নীতিমালা নেই।
১২. দেশে কতগুলো ফার্ম আছে,কতগুলো বাচ্চা উৎপাদিত হয় এবং আমাদের চাহিদা কতটুকু তার কোন সঠিক হিসেব নেই ও সে অনুযায়ী কোন ব্যবস্তা নেই।
তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি সঠিকভাবে পালন করতে পারলে লস হবেনা হয়ত কম লাভ হবে কিন্তু বাংলাদেশে দক্ষ লোক এবং ভাল পরিবেশ ও পরিচালনা কঠিন।

সোনালি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা pdf

সোনালি মুরগির রোগ প্রধানত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ

  • ভাইরাস জনিত
  • প্রোটোজোয়া জনিত
  • ও ব্যাক্টেরিয়া জনিত
লিটার এবং রোগ:
শীতের সময় লিটার ৩ ইঞ্চি এবং গরমের সময় ২ ইঞ্চি করে দিলে ভাল হয় কারন লিটার পাতলা হলে বাচ্চার শরীরের তাপ বের হয়ে লিটারে চলে যায়।
লিটার ভিজা হলে আমাশয় হয়, আমাশয় হলে গামবোরু এবং রানিক্ষত হবার সম্বাবনা থাকে।
লিটার বেশি শুকনা হলে তুত বা শুকনা গুড়া নিম পাতা স্প্রে করে দিতে হবে কারন ধুলা বালি নাকে গিয়ে মুরগির ঠান্ডা লাগে,বিশেষ করে বাচ্চার ব্রুডার নিউমোনিয়া হবার সম্বাবনা থাকে তাছাড়া রানিক্ষতে এবং গাম্বোরু বিরুদ্ধে কাজ করবে।
খাবার এবং পানির পাত্র ও রোগ:
খাবার পাত্র দিতে হবে পিঠ বরাবর আর পানির পাত্র দিতে হবে চোখ বরাবর তাহলে মুরগি সহজে খেতে পারবে এবং পানি ও খাবারে ময়লা পড়বে কম ফলে পানি বাহিত রোগ কমে হবে, পেঠ ভাল থাকবে। পাতলা পায়খানা হবেনা ওজন ভাল হবে।
লিটার যদি খাবার এবং পানিতে পড়ে তাহলে আমাশয় হয় যা সব রোগকে দাওয়াত করে নিয়ে আসে।
প্রতিদিন পানির পাত্র পরিস্কার করতে হবে এবং সপ্তাহে ১ বার খাবার পাত্র পরিস্কার করতে হবে।
মুরগির অধিকাংশ রোগ পানির মাধ্যমে আসে।
পর্দা এবং রোগ:
পর্দার নিচের অংশ ফিক্স থাকবে এবং উপর হতে নিচে নামানো হবে,অথবা উপরে চটের অংশ এবং নিচে কাপড়ের অংশ থাকা উচিত যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী উঠানো নামানো যায়।
শীতের সময় দরজায় এবং পর্দার উপরের অংশ ঢেকে দিতে হয়।
পর্দা উপরে ফিক্স থাকলে সঠিকভাবে উঠানো নামানো যায়না ফলে ভিতরে গ্যাস হয়,গ্যাস হলে ধকল পড়ে এবং শাসনালির ক্ষতি করে ফলে মাইকোপ্লাজমা,ব্রংকাইটিস এবং রানিক্ষেত হতে পারে।

কবুতর, সোনালি মুরগি পালন প্রশিক্ষণ ঃ সোনালী মুরগী পালন ও ডিম উৎপাদন

মুরগি তুলনায় কবুতর সাধারণভাবে জোড়ায় বেঁধে বাস করে। প্রতি জোড়ায় একটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী কবুতর থাকে। এরা ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। যতদিন বেঁচে থাকে_ ততদিন এরা ডিমের মাধ্যমে বাচ্চা প্রজনন করে থাকে।ডিম পাড়ার পর স্ত্রী ও পুরুষ উভয় কবুতরই পর্যায়ক্রমে উক্ত ডিমে তা দিয়ে থাকে। কবুতরের কোন জোড়া হঠাৎ ভেঙে গেলে সেই জোড়া তৈরি করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়।নতুন জোড়া তৈরি করার জন্য স্ত্রী ও পুরুষ কবুতরকে একঘরে কিছুদিন রাখতে হয়। কোয়েল পাখি পালনেও ব্যাপক সুবিধা রয়েছে।

কোয়েলের দৈহিক ওজনের তুলনায় ডিমের শতকরা ওজন বেশী। ৮-১০ টা কোয়েল একটি মুরগীর জায়গায় পালন করা যায় এবং ১৭-১৮ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। রোগ বালাই খুব কম এবং খাবার খুবই কম লাগে। বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের উপযোগী। অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অল্প দিনে বেশী লাভ করা যায়।

Golden chicken breeding bangla book pdf download link

sonali Morgi Rearing bangla.pdf

Sonali Chicken সোনালি মুরগি পালন বই
Sonali Chicken সোনালি মুরগি পালন বই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *