Indubala vater hotel pdf download – আজকে আমরা কল্লোল লাহিড়ী এর বই ইন্দুবালা ভাতের হোটেল এর pdf Download LINK নিয়ে এসেছি:
ইন্দুবালা ভাতের হোটেল পিডিএফ ডাউনলোড লিংকঃ
আরও পড়ুনঃ
বইঃ শব্দজাল
লেখকঃ Robin Zaman Khan
ইন্দুবালা ভাতের হোটেল পিডিএফ Downloadমধ্যরাতে প্রফেসর জাকারিয়া তার চিন্তাচেতনায় ব্যস্ত। সাইজোলজির প্রফেসর হিসেবে তার ভালোই নামডাক রয়েছে। আকস্মিকভাবে তার বন্ধু আতিকুল আলম যেকিনা পিবিএসআইয়ে কর্মরত। তিনি জরুরি তলফ করেন প্রফেসরকে। বিস্তারিত জানার আগেই পুলিশ ব্যুরো
অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেশনে হাজির হতে হয় প্রফেসর। প্রফেসর ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারে- আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল আল ফাত্তাহ ধরা পড়েছে। বিষয়টা বিস্ময়কর ঠেকে প্রফেসরের কাছে। তার মতো ধুরন্ধর ক্রিমিনাল কিভাবে বাংলাদেশে ধরা পড়লো?
আতিকুল আলম ফাত্তাহকে জিজ্ঞেসাবাদকে জন্য সাইকোলজির কোন প্রফেসরকে গুরুদায়িত্বভার অপর্ণ করছেন। ব্যাপারটা নিয়ে অনেকে টিম্পনি কাটলেন। তবুও আতিকুল আলমের দৃঢ়তা প্রফেসরকে ঘিরে ইনপুট করেছে কেসে। প্রফেসর একাকী কথা বলতে চায় ফাত্তাহের সাথে। কাঁচের দেয়ালের অন্যপাশের কক্ষে ফাত্তাহের মুখোমুখি প্রফেসর। অন্যপাশ থেকে পুরো টিম সেটা পর্যবেক্ষণ করছে। ফাত্তাহ ও প্রফেসরের মধ্যকার শব্দজালের চক্র ঘিরে রহস্য রোমাঞ্চকর যাত্রা চলতে থাকে।
শব্দজাল বইটিতে পরিবেশিত গল্পের বিন্যাস চমৎকার। এত সুন্দরভাবে ডিটেইলিং দেয়া হয়েছে ঘটনাসমূহের। লেখক খুবই নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করে লিখেছেন বিষয়বস্তু। ব্যাপারটা খুব দারুণ লাগছে। একেকটা বিষয়টা যেভাবে ইনপুট হচ্ছিলো। তার স্ট্যান্ডে উনার ব্যাখ্যায়িত প্রদর্শন চমৎকার। চরিত্রের ডেপথে ব্যাকড্রপের বিষয়গুলো ইনপুট শার্প। যেখানে গল্পের পড়তায় সুস্পষ্ট জীবনদর্শন বিরাজমান। অবজেক্ট নিয়ে স্ট্যাডি ও পার্ফেক্ট এক্সিকিউশানে দৃশ্যপটে স্মুথনেস বজায় রাখা হয়েছে। যে কারণে একটানা পড়ে যেতে ইচ্ছে হয়।
মেটাফোরিক সিম্বোলিক ও পার্ফেক্ট ব্যাকড্রপ সম্বোলিত স্মার্টলি গল্পের প্রেজেন্টেশান শব্দজালের রহস্যময় চক্রকে স্মুথ থ্রিলারের সংযোজন করেছে।
২ঃ সাতকাহনঃ
দিপাবলীর শৈশব বেলার দুই বন্ধু, আঙরাভাসা নদী, দাদীমার সাথে ঘুমানো, হোষ্টেল জীবন, কলেজ জীবন অনেকটাই যেন নিজের জীবনের প্রতিচ্ছবি! দিপাবলীর একাকীত্ব, অভিমান, নিদারুণ দুঃখগুলো, দুঃসহ স্মৃতি, সংগ্রাম, সাহস সবকিছু হৃদয়ে গেঁথে আছে। এমনকি যতবার মেয়েটা একাকী হু হু করে কেঁদেছে ততবার সেটা আমার কান্না হয়ে গেছে! সাতকাহনের দিপাবলীর মতো হাজার দিপাবলী আমাদের চারিপাশে আছে। কিন্তু বাস্তবের দিপাবলীকে কেউ পছন্দ করে না। উপন্যাসের একেবারে শেষে এসে দিপাবলী যেটা করে দেখালো বাস্তবে হয়তো অনেকেই এরকম চায়। কিন্তু জীবন তো আর লেখকের কলমের লেখনীতে চলেনা। এই সমাজে নিজের সুরক্ষার জন্য দিপাবলীদের অনেক হিসেব নিকাশ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নয়তো কারণে অকারণে নারীর সন্মানের দিকে আপনারাই আঙুল তুলেন। যাহোক, নারীর প্রতি সুন্দর উপলব্ধির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ইন্দুবালা ভাতের হোটেল পিডিএফ বইটি কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না। অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের সাথেই থাকবেন।