Last updated on May 24, 2021
মাত্র ৫০ পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস। আমার এই লেখকের পড়া একমাত্র বই। তাও পড়া হতো না। বন্ধু তালিকার কেউ একজন ওনার একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলো। তাতে যা লেখা ছিলো, তা মোটামুটি এই, বইটা পাবলিশ করার জন্য রেডি করা ছিলো। দুর্যোগের কারণে তা হচ্ছে না। তাই তিনি পিডিএফ করে বইটা সব জন্য উন্মুক্ত করলেন, যাতে এই ঘরবন্দী জীবনে কেনার অভাবে বই পড়া থেমে না থেকে। উদ্যোগটা ভালো লাগলো। হয়তো পাবলিসিটিও হতে পারে। তবে বইয়ের ক্ষেত্রে সাত খুন মাফ
। তাই পিডিএফ-টা পড়লাম।
এবার আসি কাহিনী বিষয়ক কথায়। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের কলকাতায় চিকিৎসা করানোর যে জার্নি, তার পুরোটাই তুলে ধরা হয়েছে এখানে। উপন্যাসে প্রধান চরিত্রের (যাকে আদর করে নায়ক বলা হয়) নাম নেই। তবে পড়তে এবং বুঝতে কষ্ট হবে না। খেয়ালও করবেন না হয়তো যে, প্রধান চরিত্রটি নামহীনভাবে পুরো উপন্যাস জুড়ে খুবই ধীরেসুস্থে ছুটাছুটি করছে।
একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য আসে কলকাতায়। একা আসে না অবশ্য। আসে বাবার সাথে। মামা এবং ছোট বোনও আসে তাদের সাথে। অচেনা এই শহরে চিকিৎসা করাতে এসে তাদের সম্মুখীন হতে হয় নানান সমস্যার। অনেক ক্ষেত্রে উতরে যায়। তবে একটা মধ্যবিত্ত পরিবার আর কতটুকুই বা ধকল সইতে পারে?
সময় থাকলে পড়ে ফেলুন। আশা করি ভালো লাগবে।
বই থেকে কয়েকটা লাইন:
লেখনী ভালো। পাঠককে বিরক্ত করে না, ধরে রাখতে পারে মোটামুটি। ওনার আরো কয়েকটা বই পড়া উচিত। তাহলে ওনার ধরনটা বুঝবো। ধরন বুঝলে পড়তে সুবিধা হয়।
যাই হোক ! সময়কে কাজে লাগানোর উৎকৃষ্ট উপায় হলো বই পড়া। নিজে পড়ুন, অন্যকে পড়তে উৎসাহী করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ….