Muktijuddher Boyane Islam PDF Download by Pinaki Bhattacharya
মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম PDF বইয়ের বিবরণ:
বইয়ের নামঃ মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম
লেখকঃ পিনাকী ভট্টাচার্য
ক্যাটেগরিঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই
পিডিএফ সাইজঃ ১১ মেগাবাইট প্রায়।
বইবাজার থেকে ক্রয় করার লিঙ্কঃ
মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম বই
মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম রিভিউ
বই আলোচনাঃমুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম বই রিভিউ।
লেখকঃপিনাকী ভট্টাচার্য।
এক্ষেত্রে কিছু ব্যাপারে দৃষ্টিপাত করা যাক-
১.মুক্তিযুদ্ধকালে সরকারি ঘোষণাপত্র এবং অন্যান্য নির্দেশাবলি ও বেতার কেন্দ্রে সকল স্থানে আল্লাহর নাম নিয়ে এবং পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু করা হয়েছে।ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের জন্য কখনোই মুক্তিযুদ্ধ হয়নি বরং একটি ইসলামিক শাসনব্যবস্থা, ন্যায় ও সাম্য ও ইনসাফের দেশ গঠনের জন্য যুদ্ধ হয়েছে।
২.রাজাকার বলতেই আমরা সারাজীবন জেনে এসেছি পাজামা,পাঞ্জাবী,টুপি,তসবিহ,লম্বা দাড়ি ধারণকারী মানুষ।কিন্তু আদৌতে কি তাই?বরং,লেখক কিছু স্থিরচিত্র সহ তুলে ধরেছেন,অধিকাংশ রাজাকার এর ই দাড়ি, গোঁফ,তসবি,টুপি ছিল না।অথচ,নাটক,সিনেমা,পোস্টারে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানেই ইসলামিক চিহ্ন ধারণকারী ব্যক্তিদের চরিত্র চিত্রণ করা হয় যার সাথে বাস্তবতার আসলে কোনো মিল ই নেই।
.যুদ্ধের সময় কিছু সংখ্যক মানুষ পাক সেনাদের সাহায্য করেছিল বা তাদের হয়ে কাজ করেছিল যাদের রাজাকার বাহিনী বলা হয়।এই রাজাকার বাহিনীতে আসলে কারা যোগ দিয়েছিল।এটি বিশ্লেষণ করা দেখা যায়,
ক) ঐ সময়টাতে দেশে দুর্ভিক্ষাবস্থা বরাজ করছিল ফলে যারা ওই বাহিনীতে যোগ দিত তাদের পাক সরকার অর্থ সাহায্য করত।
খ)কিছু ভীত সন্ত্রস্ত মানুষ এবং সুযোগ সন্ধানী ও প্রতি হিংসা পরায়ণ জনগন পাক সেনাদের সাহায্য করেছিল।
ফলে,আলেম জনগোষ্ঠী বা ইসলাম লেবাস ধারী ব্যক্তিদের রাজাকার হিসেবে গন্য করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।রাজাকার বাহিনীর একটি বিরাট অংশ এসেছে আওয়ামী লীগ, মুসলিম লীগ, পিডিপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে।
এছাড়া উল্লেখ্য যে, ধর্মীয় নেতাদের জন্য বর্ডার ক্রস করে ভারতে যাওয়া কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।এমনকি মাওলানা ভাসানীও বাঁধার সম্মুখীন হয়েছিল।
৩.মুক্তিযুদ্ধের দেশের আলেম সমাজের একটা বিরাট অংশ প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছিল যা সম্পর্কে আমরা তরুণ প্রজন্ম একেবারেই অজ্ঞাত।সে সময়ে বাংলাদেশের শীর্ষ আলেম হাফেজ্জি হুজুর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রাজনৈতিক ও নৈতিক অবস্থান নেন।এবং মুক্তিযুদ্ধকে তিনি উল্লেখ করেন”জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের ন্যায়যুদ্ধ’এবং তার সহচারীদের যুদ্ধে যোগ দিতে উৎসাহিত করেন।
মাওলানা ভাসানীর মুক্তিযুদ্ধের আগে, পরে এবং যুদ্ধ শেষে দেশের জন্য লড়াই লক্ষণীয়।এক্ষেত্রে” কাগমারী সম্মেলন “উল্লখযোগ্য।এবং তিনিই ভারতে গিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিশ্ব বোদ্ধাদের পাকিস্তান সরকারের গণহ্যতার ব্যাপারে অবহিত করেন এবং জনমত গঠনের চেষ্টা চালান।এছাড়া দেখা যায়,ভারতে অবস্থিত “জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ”নামক সংগঠন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ব্যপকভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং সহযোগীতা করেছেন আর এই সাহায্য ছিল একটি অত্যাচারিত মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উদ্ধারের জন্য।
৪.মুক্তিযোদ্ধাদের প্রিয়জনদের নিকট লেখা চিঠিপত্রে স্পষ্টতই দেখা যায় তাদের মানসিক শক্তি এবং ভাবনায় ইসলামের ভাব-চিন্তা কতোটা ক্রিয়াশীল ভূমিকা পালন করেছে।এক আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তারা শহীদ হতে প্রস্তুত ছিল।
৫.স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কৌতুক নাটিকাতে পাকিস্তান সরকার কে ইসলাম ধর্মবিরোধী এবং বাঙলিদের ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে উপস্থাপনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগানো হয়েছে।
৬.বাংলাদেশে যুদ্ধচলাকালীন অবস্থায় স্পষ্টতই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল।কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায়,জাতিগতভাবে পাকিস্তান এবং ভারত দুই জাতি।সম্ভবত একারণেই পর পর দুবার অস্থায়ী সরকার কতৃক ভারতে স্বীকৃতির আবেদন জানিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।সবশেষে,২৩ শে নভেম্বর পাঠানো চিঠিতে ভারতের সাথে মিল রেখে মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা উল্লেখ করার পর ই ভারতের স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশ।
Muktijuddher Boyane Islam PDF
মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম PDF Download Link- বইয়ের লিংক না থাকলেও তবে এই পিডিএফ দেখতে পারেন – Download link 1
(বইটির পিডিএফ এখনো তৈরি হয়নাই)
তবে এ লেখক এর আরো একটি বই ডাউনলোড করে নিতে পারেন-
পাঠকের মন্তব্যঃ শ্রদ্ধেয় Shahadat Hossain স্যারের অঅনুপ্রেরণায় বইটি পড়া।অজানা অনেক কিছু জানতে পেরেছি। কোনো তথ্য অস্বীকার বা অবিশ্বাস করার জো নেই কারণ প্রতিটি যুক্তির ই অকাট্য প্রমাণ লেখক উল্লেখ করে দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য এর লেখা অনেকদিন আগে থেকেই পড়ি কিন্তু তার লেখা কোনো বই এই প্রথমবারের মত পড়েছি।সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও ইসলাম বিষয়ক গবেষণা সংক্রান্ত বই লেখায় তার লেখা পড়ার আগ্রহ ছিল।বইটি সত্যিকারের ইতিহাস জানতে সহায়তা করবে তরুণ প্রজন্মকে।সেই সাথে ভাংবে অনেক ভুলের পাহাড়।
##মরিয়ম বিনতে আজাদ।