rabindronath ekhane kokhono asenni pdf – ওয়েব সিরিজ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি ১, ২, ৩ pdf download রিভিউঃ
pdf links:
Link :-1 | Link :-2 | Link :-3
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি পড়ার পর এতোটা ভালো লেগেছিলো যে পরেরটা পড়ার জন্য ভয়ংকর উৎসুক ছিলাম!
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি পড়ার পর সেটা অনেকটাই উবে গেছে!
রহস্যের জট খুলে দিলেও চরিত্র গুলোকে কিছুটা দূর্বল মনে হয়েছে।যেমনটা ছফা চরিত্র কে আগের সিরিজে বেশ শক্ত আর দক্ষ মনে হলেও এই বইতে সেটা খুব একটা দেখা যায়নি।মুশকান চরিত্রের তেমন প্রসারণ হয়নি।
তেমনি ওই সময়টা ভালো লাগেনি একটুও যখন নূরে ছফা ওদেরকে ধরতে সবগুলো পুলিশ নিয়ে গাড়ীর পিছনে ধাওয়া করে আর এদিক দিয়ে মুশকান আর সুস্মিতা পালিয়ে যায়।এতোবড় ডিবি অফিসার অন্তত এ ভুলটা করতে পারেনা যেভাবে চরিত্রে তার যুক্তিগুণকে ফুটিয়ে তোলা হইছে!.
ফিনিশিংটা মোটেও ভালো লাগেনি
নাজিম উদ্দীনের মতো এতো শক্ত লেখক আর এতো সাবলীল লেখায় যদিও পড়তে ভালো লেগেছে। কিন্তু এ কাহিনিটা স্বস্তির পরিমাণকে কমিয়ে দিয়েছে।
তবুও যদি ৩য় সিরিজ বের হয় আশায় থাকবো যেনো ভালো এন্ডিং আর কিছু শক্ত চরিত্রের যেমনটা তুলে ধরা হয়!!
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি বই রিভিউ
‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ বই রিভিউ হলো সুন্দরপুর গ্রামে অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টের নাম।নুরে ছফা নামের একজন রেস্টুরেন্টটিতে যান একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে(উদ্দ্যেশটি বলে দিয়ে পাঠকের আগ্রহ নষ্ট করতে চাচ্ছি না)। রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরিকে জানতে গিয়ে বের হয়ে আসে রোমহর্ষক সব কাহিনী।তার সাথে যুক্ত হয় গোর খোদক ফালুর অদ্ভুত সব কর্মকান্ড।মুশকান জুবেরিকে জানতে গিয়ে যেসব তথ্য বের হয়ে আসে তা সত্যিই অকল্পনীয়।অসাধারণ নিপুণতায় লেখক আস্তে আস্তে প্লট তৈরি করেছেন এবং শেষে গিয়ে পাঠককে বাকরুদ্ধ করে প্রমাণ করেছেন এই বই শুধুমাত্র টাকা কামানোর জন্য লেখা হয় নি।মুশকান জুবেরি এবং নুরে ছফা সহ বাকি চরিত্রগুলোকে লেখক এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যেন তারা সত্যি সত্যিই আছে।
একান্ত ব্যাক্তিগত মতামতঃ ছোটবেলায় ‘তিন গোয়েন্দা’ পড়ে যেমন অনুভূতি হতো এই বই পড়ার সময়ও একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম ‘এরপর কি হবে?’যারা আমার মতো থ্রিলার তেমন একটা পছন্দ করেন না আশা করি তারাও এই বই পড়ে আমার মতো থ্রিলড হবেন।আর এই বইয়ে একটি ঘটনা পুরোপুরি শেষ না করে দ্বিতীয় ঘটনা শুরু করা হয়েছে আবার দ্বিতীয় ঘটনা পুরো শেষ না করে প্রথমটি শেষ করা হয়েছে।ব্যপারটি প্রথমে বিরক্তিকর লাগলেও শেষের দিকে বিরক্তি রূপ নিয়েছে মুগ্ধতায়।
হ্যাপি রিডিং।
বই | রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি |
Author | মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন |
Publisher | বাতিঘর প্রকাশনী |
ISBN | 9789848729755 |
Edition | 16th Print, 2020 |
Number of Pages | 271 |
Country | বাংলাদেশ |
Language, ফরম্যাট | বাংলা, পিডিএফ , Pdf Download |
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি ১ pdf
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি ১ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন pdf review
মুশকান জুবেরী, চিরযৌবনা রহস্যময়ী সুন্দরী নরখাদক! তিন বছর ধরে যার খোঁজ করে যাচ্ছে নুরে ছফা। নুরে ছফা হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নয়, মুসকান জুবেরীর কেসইটাই একমাত্র অলসলভড কেইস।
মুশকানের একজন ভিক্টিম ছিল ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রীর পিএসের ভাগ্নে। পিএস ব্যক্তিগত কারণেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করবে তার ভাগ্নের অপহরণকারীকে ধরতে। পিএসের কথায় পূর্ণ উদ্যমে কাজে নেমে পড়ে নুরে ছফা। রমনার বটমূলে ছায়ানটের সমবেত কন্ঠে বৈশাখের গান শুনা যাচ্ছে। নুরে ছফা গান শুনলে তার দুই চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছে এক রহস্যময়ী নারীকে। কেননা সুন্দরপুরে মুশকান জুবেরী যখন নুরে ছফাকে ঘোল খাইয়েছিলেন তখন বলেছিলেন রমনার বটমূলে এই অনুষ্ঠান কখনো মিস হয় না তার।
কিন্তু নুরে ছফা বুঝতে পারলো না কেইস কোথা থেকে শুরু করবে তাই কেএস খানের কাছের পরামর্শ নিতে গেলে কেএস খান বলেন, ” আপনি যে মাটিতে আছাড় খাইছেন সেই মাটি থিকাই আবার উঠতে হবে।” ছফা বুঝতে পারলো তাকে সুন্দরপুরে আবার ফিরে যেতে হবে। সেইখানে গিয়ে বিচিচিখ্যাত আতর আলীর সাহায্য নিল। মাস্টারসাবের সাথে দেখা করলো এবং কিছু প্রশ্ন করলো, মাস্টারসাব যদিও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাসচ্ছিলেন তবুও উত্তর দিলেন। ছফার ধারণা মাস্টারসাব তাকে মিথ্যা বলছে কিংবা মুশকান জুবেরীকে বাঁচাতে চাইছে। তবে সেখান থেকেই ছফা ক্লু পেয়ে যায়।
ঢাকায় এসে সরাসরি চলে যান উকিলের অফিসে সেখান থেকে ডাক্তার আসকারের বাসা। যদিও ডাক্তারের ঠিকানা বের করা সহজ ছিল না কিন্তু প্রাণ বাঁচাতে সব বলে দিয়েছে উকিল। ডাক্তার আসকার নতুন কাহিনী দিয়ে ছফাকে ভুল পথে চালনা করলেন তবে সেটা কাজে দিল না। তবে আসকারের বুদ্ধির তারিফ করতে হয়! আসকারের পাসপোর্ট দেখে বুঝতে পারলো তিনি ঘন ঘন কলকাতা যাওয়া আসা করেন। ছফার বুঝতে বাকী রইলো না মুশকান কলকাতায় থাকে!
ছফা চলে গেলেন কলকাতা, শুরু করলেন তার কাজ। নগরপালের সাহায্য তার কাজ সহজ হয়ে গেল। দুইজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে কেন্দ্রকে চলছে ছফার তদন্ত। বেড়িয়ে আসে অদ্ভুদ তথ্য আর সেইখান বেনাপল দিয়ে চলে আসেন সুন্দরপুরে।
শুরু হয় মুশকান জুবেরী ও ছফার প্রহেলিকাময় পাশা খেলা। কেউ কারো থেকে কম নয়, যেকোনো মুহূর্তে একজন অপরজনকে টপকে যাবে। কে হারবে, কে জিতবে এই নিয়ে থাকবে উত্তেজনা!
‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি’ এই বই টা পড়ে মরিয়া হয়ে ছিলাম দ্বিতীয় পার্টটি পড়ার জন্য, তবে এখন তৃতীয় পার্টটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রথম বইটা যেমন মুগ্ধ করেছিল দ্বিতীয় বইটা মুগ্ধতা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। লেখকের সাবলীল লেখার প্রশংসার করতেই হয়! একটা পৃষ্টা পড়ার পরের পৃষ্টা পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলাম। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো আমি নিজেই নুরে ছফা!🤐 লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ আকর্ষণীর মৌলিক থৃিলার টার জন্য!♥
বই রিভিউ তেমন লিখতে পারি না, তবে চেষ্টা করে যাই।🙂
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি ২ pdf
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি 2 মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন pdf review:
–তিনি আসলেই ভালো লিখেন। বলব না যে অনেক বই পড়েছি, আমার দৌড় সেই ফেলুদা ব্যোমকেশ, মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দা পর্যন্ত। নাম শুনেই তার বই কিনেছিলাম। তিনি আসলেই নামের সুবিচার করেছেন। সামনে তার বাস্টার্ড সিরিজ ও পড়ে ফেলব।
দেশি পটভুমি, দেশি চরিত্র, রাবিন্দ্রিক আবহ। বংগদেশে বিস্তৃতি। কল্পনার সবটুকু ছাড়িয়ে আমাদের ছফা বেশ হ্যান্ডসাম ও নন। কিন্তু তিনি ডিবি অফিসার। মুশকান জুবেরি, সুস্মিতা বইয়ের কলেবরে যথেষ্ট সময় ধরে একে নিয়েছেন। কখনো মনে হয়নি অযথা সময় নষ্ট হয়েছে। সময় নিয়ে সাসপেন্স তৈরি করেছেন। প্রথম দিকে ৩-দিনে শেষ করেছি অর্ধেক আর বাকি অর্ধেক একরাত্রে। সেই রাত্রে ঘুমিয়েও আমি কিনা রহস্য উন্মোচন করছিলাম। মাথাটা এতটাই রহস্যপ্লুত ছিল কিনা।
স্পয়লার যেহেতু দেয়াই যাবেনা। থ্রিলার বলে কথা। তবুও বলবো মুশকান জুবেরির প্রহলিকা ময় জগতে স্বাগতম। বাংলা ভাষাভাষিরা আরেক নতুন লেখক পেয়ে গিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি ৩ pdf review
“রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি ৩” যারা পড়েছেন তাদের নিশ্চয় মুশকান জুবেরির কথা মনে আছে? সেই রহস্যময়ী নরখাদক। ডিবি অফিসার ছফাকে যার কাছে নাকানিচুবানি খেয়ে সুন্দরপুর ছাড়তে হয়েছিলো। এবারের ঘটনা আরও তিন বছর পরের। ঢাকা-সুন্দরপুর-কলকাতা মিলিয়ে এবারের ঘটনা। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে মুশকান জুবেরিকে দেখে ছফা। পরবর্তীতে মুশকানের এক শিকার হাসিবের মামার বিশেষ অনুরোধে পুনরায় তদন্ত শুরু করে। প্রথমে সুন্দরপুর পরে কলকাতা। তারপর আবার ঢাকা। মরীচিকার মতো মুশকান জুবেরির পিছনে ধাওয়া করছে কিন্তু সত্যিই কি তার দেখা পাবে? সুন্দরপুরের সেই গানের শিক্ষিকার মধ্যে মুশকানের ছায়া কেন দেখতে পাওয়া যায়? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
প্রথমেই বেশ চমক ছিলো। কিন্তু মাঝ পর্যায়ে কাহিনীটি খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে বলে মনে হয়েছে। বিশেষত সুন্দরপুরের অংশটি। এবং একই সাথে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণাও দেখা গিয়েছে। পাঠক যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রহস্যের কূলকিনারার, তখন সুন্দরপুরের কোনো পকেটমারের জীবনী বা কারো যৌন জীবন নিয়ে অতিরিক্ত কথা বিরক্তি লাগতেই পারে। তবে, শেষের অধ্যায়টা বেশ ভালো ছিলো, উত্তেজনাপূর্ণ। আর বইয়ের একদম শেষ লাইন- “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি “- এটার জন্যই আরও আকর্ষণীয় সমাপ্তি হয়েছে বলে মনে হয়েছে। যে একবার পড়া শুরু করেছেন এই সিরিজ তাকে মুশকানের প্রহেলিকার জগতে হারিয়ে যেতেই হবে।