Book: Sajahan Bengali natok PDF Download | সাজাহান নাটক Pdf Download by দ্বিজেন্দ্রলাল রায়.
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাজাহান নাটকের প্রকাশকাল: ৮ আগস্ট, ১৯০৯, ১৬১ পূ.।
নাটক এর বিবরণ-
book | সাজাহান |
Author | দ্বিজেন্দ্রলাল রায় |
Editor | শ্রী সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় |
Publisher | মাটিগন্ধা |
format | |
Edition | 1st Edition, 2019 |
Number of Pages | 104 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
ডি এল রায়ের সাজাহান নাটকের সারমর্ম
সাজাহান নাটকের নামকরণ:
‘সাজাহান’ নাটকের নামকরণ নিয়ে নানা রকম মতামত প্রচলিত আছে। কারো কারো মত নাটকটির নাম হওয়া উচিৎ ছিল ঔরংজীব আবার কেউ বলেন জাহানারা। আবার কেউ বলেছেন নাটকটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে আশ্রয় করে হলেই শ্রেয় হতো। কারণ তাদের কাছে নাটকের প্রধান চরিত্র নিয়ে সংশয় আছে। তারা সাজাহান ন ঔরংজীবকেই প্রধান চরিত্র হিসেবে গণ্য করছেন।
পুরুষ চরিত্র
সাজাহান………….. ভারতবর্ষের সম্রাট
*দারা
*সুজা
*ঔরঙ্গজীব……………………সাজাহানের পুত্র চতুষ্টয়
*মোরাদ
*সোলেমান
*সিপার……………………………… দারার পুত্রদ্বয়
*মহম্মদ সুলতান………………….ঔরঙ্গজীবের পুত্র
*জয়সিংহ…………….. জয়পুরপতি
*যশোবন্ত সিংহ…………………… যোধপুরপতি
*দিলদার………………… ছদ্মবেশী জ্ঞানী(দানেশমন্দ)
স্ত্রী চরিত্র
জাহানারা………………. সাজাহানের কন্যা
*নাদিরা………………… দারার স্ত্রী
*পিয়ারা…………….. সুজার স্ত্রী
*জহরৎ উন্নিসা……………. দারার কন্যা
*মহামায়া……………… যশোবন্ত হিংহের স্ত্রী
সাজাহান নাটকের জাহানারা চরিত্র:
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ‘সাজাহান’ (১৯০৯) শুধু নাট্যকারের সাহিত্যকীর্তির মধ্যে নয়, বাংলা নাট্য সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। মোগল সম্রাট সাজাহানের রাজত্বকাল ৩৮ বছরেরও অধিক। তাঁর রাজত্বকালের দ্বন্দ্বমুখরতা এবং জীবনের শেষ আট বছরের দ্বন্দ্ববহুল ঘটনাবলী এ নাটকের উপজীব্য। নাটকের সময়কাল ১৬৫৭ সালের নভেম্বর ডিসেম্বর থেকে আরম্ভ করে ১৬৬৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বিস্তৃত।
১৬৫৭ সালের ৭ই মার্চ সম্রাট সাজাহানের রাজক্ষমতা অর্জনের ত্রিশ বছর পূর্ণ হয়। এ বছর তাঁর বয়স হয় ৬৭ বছর। পারস্য ও আরব দেশ থেকে বহু পর্যটক আসেন প্রজাবৎসল ও বিবেচক সম্রাট সাজাহানের ভারতবর্ষ দর্শনে। এ বছরের ৬ই সেপ্টেম্বর সম্রাট মুত্রকন্দ্রতা ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগে গুরুতর রূপে আক্রান্ত হন এবং রাজকার্য পরিচালনায় অসামর্থ্য হয়ে পড়েন। তার রোগমুক্তির জন্যে চিকিৎসা করা হয় এবং দান খয়রাত দেওয়া হয়। ১৪ই সেপ্টেম্বর সামান্য সুস্থ হয়ে তিনি ব্যাকুল প্রজাকুলকে এসাদের বারান্দা থেকে দর্শন দেন। কিন্তু তিনি অনুভব করেন, এই সামান্য সুস্থতা সাময়িক। তাই তিনি উত্তরাধিকারী মনোনীত করবার জন্যে রাজ্যের প্রধান ব্যক্তিদের সভা আহবান করেন এবং জ্যেষ্ঠপুত্র দারাকে উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেন।
এসময় গুজব রটে যায় যে সাজাহান মৃত। এ গুজবকে মিথ্যে প্রমাণ করবার জন্যে সাজাহান জানালা থেকে প্রজাদের দর্শন দিলেন। কিন্তু সন্দেহ তাতে গেল না। কেউ কেউ মনে করলো মৃত সাজাহানকে জীবিত প্রমাণ করবার জন্যে দারা কৌশলে কোনো খোজাকে সম্রাটের পোষাক পরিয়ে প্রজাদের অভিবাদন গ্রহণ করাচ্ছেন। এই রটনা অতিরঞ্জিত হয়ে দাক্ষিণাত্যে ঔরংজীবের কাছে গুজরাটে মোরাদের কাছে এবং বাংলাদেশে সুজার কাছে পৌঁছালো। মৃত্যু অত্যাসন্ন অনুমান করে সাজাহান দিল্লী ত্যাগ করে আগ্রা যাত্রা করেন। মৃত্যু অবধি সম্রাট আগ্রা দুর্গে অবস্থান করেন এবং প্রায় নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করেন। দারা সম্রাটের নামে ফরমান জারি করতেন।
মৃত্যুপূর্ব কয়েক বছর সাজাহান আগ্রায় বন্দী জীবন যাপন করেছেন। এ সময় ঔরংজীবের পুত্র মুহম্মদ পিতামহের খোঁজখবর রাখতেন। মুহম্মদ অন্যত্র চলে গেলে, এক খোজা সাজাহানের দেখাশুনা করতো। খোজা, বন্দী, অসুস্থ ও অসহায় সম্রাটের সাথে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করতো। এই দুর্গেই ১৯৬৬ সালের ২২ শে জানুয়ারি সম্রাট সাজাহান মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুপূর্বে ভ্রাতৃদ্বন্দ্বে বিজয়ী পুত্র ঔরংজীবের সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছিলেন সম্রাট। ঔরংজীব উপদেষ্টাদের পরামর্শে সম্রাটের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ঔরংজীব আগ্রা দুর্গ অবরোধ করলে, সাজাহান তিনদিনের বেশি দুর্গকে রক্ষা করতে পারেননি। ঔরংজীর দুর্গে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শয্যাগত অসহায় বন্দীদশায় পীড়িত সম্রাট সাজাহান অপেক্ষা করেছেন মৃত্যুর। অপরদিকে ঔরংজীব ভগ্নিজাহানারার শাস্তি প্রস্তাব প্রত্যাখান করে, পিত প্রস্তাবকেও ফিরিয়ে দেন এবং ইতিহাসের এই নির্মম কাহিনীকে সযত্নে নাটকে পরিবেশন করেছেন নাট্যকার রক্ষিত সমুদয় ধনরত্ন হস্তগত করে।
Sajahan Bengali natok PDF links
সাজাহান নাটক Pdf Download-