স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Pdf Download (All)

d সৌরভ চক্রবর্তী Pdf All Sourav Chokrovorty pdf

স্মরণজিৎ চক্রবর্তী pdf – Smaranjit Chakraborty pdf books

কপিলদেব ও আর এক জন  স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Pdf Download  – Kapil Dev O Aro Ekjon pdf by Smaranjit Chakraborty

ক্রিসক্রস স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Pdf Download  – Crisscross pdf by Smaranjit Chakraborty

হিমযুগ pdf by স্মরণজিৎ চক্রবর্তী – Himjug pdf by Smaranjit Chakraborty pdf

ফানুস Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Fanush pdf by Smaranjit Chakraborty

জোনাকিদের বাড়ি Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Jonakider Bari – Smaranjit Chakraborty

অসম্পূর্ণ Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Asampurna by Smaranjit Chakraborty PDF Download

অদম্য ১ Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Adamya 1 by Smaranjit Chakraborty pdf

অদম্য ২ Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Adamya ২ by Smaranjit Chakraborty pdf

অদম্য ৩ Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Adamya 3 by Smaranjit Chakraborty pdf

কম্পাস 1, 2, 3 pdf

or
or
or
or
or

আলোর গন্ধ Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Alor Gondho by Smaranjit Chakraborty

উনিশ কুড়ির প্রেম Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী | Unish Kurir Prem by Samaranjit Chakraborty PDF Download

পাল্টাহাওয়া Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Paltahawa by Smaranjit Chakraborty

or
or
or
or
or

পাতাঝরার মরশুমে Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Patajharar Marshume | Smaranjit Chakraborty

ফিঙে Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Finge | Smaranjit Chakraborty

 

ওম Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Om by Smaranjit Chakraborty

 

মিথ্যুক Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Mitthuk by Smaranjit Chakraborty

ওয়ারেন দাদুর ধাঁধা-বাক্স Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Waren Dadur Dhanda Baxo by Smaranjit Chakraborty

ফুরায় শুধু চোখে Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Furay Sudhu Chokhe by Smaranjit Chakraborty

মোম কাগজ  Pdf Download স্মরনজিৎ চক্রবর্তী Mom Kagoj pdf by Smaranjit Chakraborty

 

পাখিদের শহরে যেমন Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Pakhider Shahare Jemon

কম্পাস Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Compass by Smaranjit Chakraborty

অ্যান্টেনা Pdf Download স্মরণজিৎ চক্রবর্তী


Read more –
বইয়ের নাম: বকুল কথা
আশাপূর্ণা দেবীর “সত্যবতী ট্রিলজি” তিন প্রজন্মের নারীর আখ্যান। এর শেষ উপন্যাস “বকুলকথা” তে উঠে এসেছে সুবর্ণলতার ছোট মেয়ে বকুল ওরফে অনামিকা দেবীর জীবনালেখ্য।


“বকুলের ছদ্মবেশটা অনেকেই পাচ্ছে, হয়ত আরও অনেকে পাবে। সেখানে কত ঔজ্জ্বল্য, কত সমারোহ। কিন্তু ছদ্মবেশ যখন খুলে রাখে বকুল, কি নিঃস্ব, কি দীন, কি দুঃখী। কিন্তু শুধু কি একাই বকুল? কজনের জীবনে ভিতর বাহির সমান উজ্জ্বল?”

বকুলের জীবনটাও ঠিক তেমনই ছদ্মবেশ কিংবা আপন সত্ত্বার গণ্ডিতে আবদ্ধ ; কিংবা এও বলা ভালো, অনামিকা দেবীর জীবন। অনামিকা দেবীর জীবনে বকুল শুধুমাত্র একখানা বন্ধ খাতার নামমাত্র, যে খাতাটির সন্ধান করতে আকুল অনুরোধ করেছিলেন বকুলের পিঠেপিঠি বয়সের সেজদি পারুল। কিন্তু জীবনে যে খাতা বা অধ্যায়টি অনেক অপমান ও ক্লেশের সম্মুখীন হয়ে বন্ধ হয়, তা কি সহজে খোলে?

“পরিবর্তন মানেই তো জীবন! যা অনড় অচল অপরিবর্তিত, সেখানে জীবনের স্পন্দন কোথায়? অচলায়তনের মধ্যেই মৃত্যুর বাসা!”

যান্ত্রিকতাময় ব্যস্ত জীবন ও আমিত্বের কঠিন নাগপাশে নিজেকে জড়িয়ে রেখে বকুল ওরফে অনামিকা দেবী নিজেও খোলেননি সে খাতাটি, কিংবা এও বলা ভালো, অনামিকা দেবী নামক গালভরা নামটির আচ্ছাদনে তিনি মুড়িয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন সেই সাধারণ, বোকাবোকা চেহারার ভীতু বকুলকে, কষ্ট না পেতে দেয়ার “অভিপ্রায়েই” হয়ত তাকে আজীবন কুমারীত্বের ভার বহন করতে হয়েছিলো স্বেচ্ছায়।
উপন্যাসে তৎকালীন সময়ের এক আলোচিত লেখিকা হিসেবে অনামিকা দেবীর লেখনীতে উজ্জ্বল হয়ে উঠে এসেছে একের পর এক চরিত্র এবং সমাজের নানান বাস্তবতার দিক। একইসাথে তার পারিপার্শ্বিকতায়ও বিমূর্ত হয়ে উঠেছে বেশকিছু চরিত্রেরা, যাদের কেউ কেউ তাদের মননশীল ও মুক্তমনা চিন্তাচেতনার মাধ্যমে নিজেদের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে দৃষ্টান্ত গড়েছে (যেমন বকুলের ভাতিজি শম্পা); অপরদিকে কেউ কেউ তাদের উগ্র মানসিকতা ও আচরণের মাধ্যমে আধুনিকতার পরাকাষ্ঠায় মাতোয়ারা হয়েছে (যেমন বকুলের ভাতিজা অপূর্বর মেয়ে সত্যভামা)। আর এরকম অনেক চরিত্রের ভীড়ে বকুলের চিন্তাশীল চরিত্রটি দুঃখজনকভাবে অতটা আলো ছড়াতে পারেনি, যতটা ছড়িয়েছিলেন তার দিদা সত্যবতী এবং মা সুবর্ণলতা।
সত্যবতীর নাতনী এবং সুবর্ণলতার মেয়ে হিসেবে আশা করেছিলাম যে বকুলের মাঝে কিছুটা হলেও তাদের চিন্তাচেতনার সুস্পষ্ট ছাপ খুঁজে পাব। বকুলের আত্মসম্মানবোধ এবং ব্যক্তিত্ব প্রশংসনীয় তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু তার চিন্তাধারায় আমি সেই প্রদীপ্ত ও প্রত্যক্ষ চেতনাটি খুঁজে পাইনি, যা তার মা ও দিদার মাঝে বিদ্যমান ছিলো। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সুবর্ণলতার নাতনি হিসেবে শম্পা সেই শূন্যস্থানটি সফলভাবে পূর্ণ করেছে।
বকুল তার মা ও দিদিমার তুলনায় অনেকটাই নিষ্প্রভ হলেও মা সুবর্ণলতার মাঝে লিখনশৈলীর যে সৃজনশীলতা গড়ে উঠেছিলো, তা সে নিজের মাঝে ধারণ করেছে; এককথায়, বকুল সুবর্ণলতাকে পরিপূর্ণ করে এনেছে অনামিকা দেবীর মাধ্যমেই। আর এখানেই তার সার্থকতা।
একজন লেখিকা হিসেবে বাস্তবিকই অনামিকা দেবী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে তুলে এনেছেন, কিন্তু সেই একই সমাজের অসঙ্গতিপূর্ণ ক্ষেত্র থেকে উত্তরণের মুক্তির পথটি তিনি দেখিয়ে যেতে পারেননি। অতীত ও বর্তমানের মধ্যকার সেতুবন্ধন হিসেবে বকুল তথা অনামিকা দেবীর ভূমিকা ছিলো একজন চিন্তাশীল পর্যবেক্ষক হিসেবেই মাত্র।
পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে অনামিকা দেবীর সময়কার যুগে আধুনিকতা এসেছে ঠিকই, কিন্তু আধুনিকতার সেই ছাপ পড়েনি সেই যুগের মানুষের মননে ও চিন্তাধারায়। সমাজের তথা যুগের পরিবর্তন শুধু স্বাধীনতা বা মুক্তিই নিয়ে আসেনা, একইসাথে অনেক জটিলতার জন্মও দেয় বটে। বকুলকথা” উপন্যাসেও সেই জটিলতার নানান পরিচয় মিলবে পাঠকদের। একইসাথে পাঠকের ভাবনার জগতে একটি চিন্তার খোরাক রেখে যাবে এই প্রশ্নটি– “স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারীতার সীমারেখাটি ঠিক কোথায়?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *