একাদশ শ্রেণির বাংলা অপরিচিতা গল্প রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর pdf | Oporichita golpo pdf by Rabindranath Tagore pdf link –
আমার জীবনের অপরিচিতা গল্পের কল্যাণী চরিত্র বর্ণন:
সময় সকাল ১১:২৮। সাইফুর্স এর ভার্সিটি এডমিশন ক্লাস শেষ করে গেটের বাইরে বেরোলাম মাত্র। আকাশটাও কিছুটা মেঘলা। আকাশকে দেখে যতোটুকু মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামতে ঘন্টা দেড়েক লাগবে। সামনে দু দন্ড হাটতেই আমার ধারণা ভুল প্রমান করতে নেমে এলো বৃষ্টি। ঝুম বৃষ্টি পড়ছে। হাতে থাকা নোটবুকটা দিয়ে আমি আমার মাথার উপরের অংশটা বৃষ্টি থেকে বাচানোর বৃথা চেষ্টা করছি। তখনই পিছন থেকে হঠাৎই কেউ চমকে দিয়ে ছাতা নিয়ে বৃষ্টি থেকে আড়াল করলো আমাকে । অবাক হয়ে তাকালাম তার দিকে। এতো এক অপরিচিতা তবুও মনে হচ্ছে তাকে আমি চিনি বহুদিন ধরে। আমি ছাতার হাতলে তার হাতের উপর আমার হাত রাখলাম। আমার ভেজা অবস্থা দেখে তার মুখে এক অট্টহাসি। না এ অট্ট হাসি না। এ হাসির শব্দ কেউ শুনতে পাচ্ছেনা। একি! আমিও তো শুনছিনা। তার এই শব্দহীন হাসিটাই বিদ্ধ হলো বুকের ঠিক বাম পাশে।মাথাটা নাড়িয়ে আমার হাতে ছাতাটা দিয়ে তার কাধে থাকা ভ্যানিটিব্যাগ থেকে রুমাল বের করার চেষ্টা করছে। কিছু বোধগম্য না হওয়ার পরেও কেনো যেনো ছাতাটা আমাদের মাথার উপর থেকে সরিয়ে ফেললাম। ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম আমি আর আমার অপরিচিতা। অপরিচিতা মিথ্যে রাগ করে ওর নরম হাত দিয়ে আমাকে আলতো করে মারতে থাকলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি তার এ মেকি রাগ আর মুচকি হাসির দিকে। একি সত্যিই কোনো অপরিচিতা নাকি চির পরিচিত কেউ যাকে চিনি আমি বহুদিন ধরে।
.
“এ ভাই? এ ভাই?” সম্ভুত ফিরলো আমার। আমাকে ধাক্কাচ্ছে আর বলছে। “ধুর মিয়া, এই অল্পবয়সে পাগল হইলেন নাকি? বৃষ্টির মধ্যে মাথায় একটা খাতা দিয়া রাস্তা আটকাইয়া দাড়াইয়া আছেন কতোক্ষন ধইরা। পাগলামি বাড়ি যাইয়া করেন।” গালাগালি করতে করতে চলে গেলো অল্পবয়সী এক বালক।
.
বৃষ্টি পড়ছে কিন্তু আমার পাশে কোনো সুন্দরী অপরিচিতা নেই। ব্যস্ত সড়কের পাশে সরু রাস্তায় বৃষ্টি মাথায় একা দাঁড়িয়ে আছি আমি।
একি! আমার কল্পনাশক্তি এতোই প্রখর? হা হা হা।