বইয়ের নাম: টেক্সটাইল বিচিত্রা Pdf Download (textiles bichetra pdf)
বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্গের কর্মচারীরদের ধর্মঘটের প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন। ক্যাম্পাসে সেসময় সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন। যার ফলস্বরূপ মুজিবসহ গোটা ১৫ জনকে গ্রেফতার
করা হয়। পনেরো জনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারসহ অন্যান্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হলো। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৫ জনের ১৪ জনকে ভুল স্বীকারপূর্বক দুঃখ প্রকাশ করার মাধ্যমে ছেড়ে দিল। কিন্তু শেখ মুজিব ছিলেন তখনও অবিচল! তিনি ‘মুচলেকা’ দিতে রাজি নন। তিনি তাঁর দাবীর স্বপক্ষেই ছিলেন।
যার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়া হয়নি মুজিবের। তিনিও সগর্বে বলেছিলেন,‘সসম্মানে ছাড়া আর কোনদিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ করবো না।’ অবশেষে সুদীর্ঘ ২৩ বছর পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ‘ডাকসু’ সম্মিলিতভাবে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমন্ত্রণ জানায় বঙ্গবন্ধুকে। তাঁর উপস্থিতিতে ১৯৪৯ সালের বহিষ্কার আদেশের মূল কপি ছিঁড়ে ফেলা হয়। তাঁকে বিরল সম্মানের অধিকারী হিসেবে প্রদান করা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন সদস্যপদ। এমনই সত্যের পক্ষে একরোখা ছিলেন বঙ্গবন্ধু!
দেশের মর্যাদা যাতে এতটুকুও ক্ষুণ্ণ না হয়, সেজন্য সর্বদা সতর্থ থাকতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একবার তাঁকে এক সাংবাদিক (ডেভিড ফ্রস্ট) প্রশ্ন করেছিলেন,‘আপনার ৩২নং ধানমণ্ডি বাড়ি থেকে সেদিন যখন আপনি বেরিয়ে এলেন, তখন কি ভেবেছিলেন, আর কোনদিন আপনি এখানে ফিরে আসতে পারবেন?’ উত্তরে শেখ মুজিব তখন বলেছিলেন,‘আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, আজ আমি যদি আমার দেশের নেতা হিসেবে মাথা উঁচু রেখে মরতে পারি, তাহলে আমার দেশের মানুষের অন্তত লজ্জার কোনো কারণ থাকবে না। কিন্তু আমি ওদের কাছে আত্নসমর্পণ করলে, আমাদের দেশবাসী পৃথিবীর সামনে আর মুখ তুলে দাঁড়াতে পারবে না, আমি মরি, তাও ভালো, তবু আমার দেশবাসীর যেন মর্যাদায় কোনো হানি না ঘটে।’ বঙ্গবন্ধু যে তাঁর দেশের মানুষকে বড্ড বেশি ভালোবাসতেন।