দ্য পিলগ্রিমেজ Pdf Download

book দ্য পিলগ্রিমেজ Pdf Download

দ্য পিলগ্রিমেজ Pdf Download – Paulo coelho books bangla pdf

Download

আরও পড়ুনঃ

বইঃ তিথি
লেখকঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
বিষয়ঃ পশ্চিমবঙ্গের উপন্যাস
পৃষ্ঠাঃ ৮০
প্রকাশনীঃ মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স
প্রচ্ছদপটঃঅঙ্কন-সুনীল শীল,মুদ্রণ-চয়নিকা প্রেস
১৪ বছরের একটি কিশোরি মেয়ে তিথি। তার বাবা বিপ্লব দত্ত আর মা মিলি দত্ত। মূলত তিথীর গল্প শুরু হয় তার বাবার সুইসাইড নোট দিয়ে। আত্মহত্যার বহুদিন পরে এক সকালে হুট করে বাবার লেখা সুইসাইড নোট পেয়ে অবাক হয়ে যায় তিথি। তাতে লিখা ছিলো,
To whom may it concern,
Nobody,absolutely nobody is responsible for my death.Life was all fun,it is funnier to take it away.I lived well,contented.Don’t bother my family.Bye.
Biplod Datta.
তার বাবার সুইসাইডের পর তারা বুঝতে পারে তারা অনেক ঋণের বোঝায় তলিয়ে আছে। ঋণ থেকে একমাত্র পরিত্রানের উপায় তাদের শেষ সম্বল বসবাসের বাড়িটা বিক্রি করা।
এরই মাঝে তাদের বাড়ির গৃহকর্মী থেকে শুরু করে তার দাদা-দিদি সবাই বাসার মধ্যে অশরীরী কিছু অনুভব করতে থাকে।আর অন্যদিকে একেবারে ভিন্ন তিথি!
তিথির সবচেয়ে প্রিয় ছিলো তার বাবা এবং সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তার বাবাও তাকেই সবচেয়ে বেশিই ভালোবাসতো আর সেই বাবার আত্মা বাড়ির মধ্যে ঘুরছে এসব শুনে ভয় পাওয়ার মেয়ে তিথি না। সেই ভালোবাসা থেকেই ছোট এই কিশোরি তার বাবার রুমে থাকতে শুরু করেন, যেখানে অন্যরা যেতেই ভয় পেত।
এরই মাঝে একদিন তিথি তার বাবাকে স্বপ্নে দেখে।
স্বপ্নে তার বাবা তিথিকে বলছিলো,তার মা তথা মিলি দত্তই নাকি একটা বিশাল ফ্যাক্টর তার সুইসাইডের জন্য। সে বলেছে, বউরা বোঝেই না তারা কিভাবে একজন পুরুষকে নির্দয়তা দিয়ে,শোষন,অবহেলা করে মেরে ফেলে।তার স্ত্রী তাকে তুষ্ট থাকতে দিতো না।কেবল বড়লোক হতে বলত আরো ইত্যাদি!!!
ঋণের বোঝা থেকে রেহাই পেতে বুকে হাজারো কষ্ট রেখে একে একে খদ্দের দেখাতে থাকে। আর এসব কিছুরই দেখাশোনা করছিলি তিথির মামা। একদিন খদ্দেরের বেশ ধরেই আসেন ‘অমিত গূহ’ নামের একজন ২৮ বছরের এক ভদ্রলোক।তিথির সাথে তার প্রথম আলাপ হলে সে তার মামাকে ডেকে দেন অমিতের সাথে কথা বলার জন্য।
সে এসে তার পরিচয় দেন এবং বলেন বিপ্লব দত্তের সাথে তার অনেক আগে থেকেই পরিচয় ছিলো এবং এই বাড়িটা করার সময় সে নিজেই সেটা সুপারভাইজড করেছিলো। তিথির মামাকে অমিত, বিপ্লব দত্তের ব্যক্তিগত বিষয়েও অনেক কিছু বলেন যা তিনি অমিতকে বলেছিলেন।
তার সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগের জন্য একটি কার্ড রেখে যান যেটা কিনা মিলি দত্ত ছিড়ে ফেলেন আর ভাগ্যক্রমে সেটা পেয়ে যায় তিথি।
সাদামাটা ভদ্রলোকের প্রতি এক প্রকার আগ্রহ নিয়েই তার কার্ডে দেয়া নাম্বারে ডায়াল করেন।
তার সাথে কথা বলে অদ্ভুত এক তথ্য জানতে পারে তিথি এবং অমিতের সাথে আলাপের পর আরো নতুন আশ্চর্যজনক তথ্য জানতে পারে তিথি যা গল্পের মোড়ই ঘুড়িয়ে দেয়।
অদ্ভুত সাসপেন্স নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে গল্প। এরপর কি হয়, তিথি আর অমিতের মধ্যে কেমন সম্পর্ক তৈরী হয় সবই জানতে হলে বইটা পড়তে হবে।
আমার অনুভূতি: এই বইটি পড়তে বিন্দু মাত্র কারো বিরক্ত লাগবে না। কারন বইটি এমনই ভাবে লিখা যে ১-২ ঘন্টার মধ্যে বইটা শেষ করে তবেই আপনি উঠবেন। বইয়ের ভিতরের লেখনি চুম্বকের মতো আকর্ষণ করবে যে কাউকে।
সবচেয়ে খারাপ লেগেছে তিথির বাবার সুইসাইডের কারনটা যেটা তিথির স্বপ্নের মাধ্যমে লেখক জানিয়ে দিয়েছেন।
তাহলে কি এটা আবারও প্রমান হয়ে গেলো না, একটা মানুষের আত্মহত্যার পিছনে গুটিকয়েক মানুষের কিংবা যেকোনো ঘটনার হাত থাকেই?
কেউ-ই চায় না নিজের এই সুন্দর জীবনটা নিজ হাতে কেড়ে নিতে। আমাদের আশেপাশের আত্মহত্যার কিছু বাস্তব ঘটনা ঘেটে দেখলেও আমরা এমন কিছু কারনই খুঁজে পাবো। 🙂
সমাপ্তিতে আমার কাছে মনে হয়েছে এ যেন, “শেষ হইয়া-ও ,হইলো না শেষ”-এরকম!!!
আবারও বলতে হয় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখায় আবারও প্রেমে পিছলে পড়লাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *