আজকে আমরা প্রাণিকুলের ইন্দ্রিয়শক্তি(Sense of Animals) নিয়ে ব্যাসিক কিছু তথ্য জানব।
মানুষ যেমন চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কে তার পাঁচটি ইন্দ্রিয়শক্তি দিয়ে জানতে পারে। যেমন : দেখতে পাওয়া, শুনতে, ঘ্রাণ নিতে, স্পর্শ অনুভব করতে, স্বাদ গ্রহণ ইত্যাদি করতে পারা; তেমনি সকল প্রাণিকুলই পৃথিবী সম্পর্কে জানার জন্য ইন্দ্রিয় থাকে।
প্রতিধ্বনি: বাদুরেরও এমন একটি ইন্দ্রিয়শক্তি আছে, যা অনেকটা বিমানের রাডারের মতো কাজ করে। বাদুরেরা যখন শব্দ তৈরি করে, এসব শব্দসংকেত যদি কোনো কঠিন বস্তু যেমন : দেয়াল, বৃক্ষ অথবা পতঙ্গ যেখানে বাদুরেরা খাদ্য সংগ্রহের জন্য আসে, তাতে আঘাত করলে ধাক্কা খেয়ে প্রতিধ্বনি ফিরে আসে। শব্দ কোনো বস্তুতে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসাকে প্রতিধ্বনি বলে।
Colugo bat(কলুগো বাঁদুর): বাদুর অন্ধকারে পরিষ্কারভাবে দেখতে পায় না। তাই এ নিজেদের পথ খুঁজে নিতে প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে । স্থান নির্ধারণে বাদুর এক ধরণের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে ।
ইকো-লোকেশন: প্রতিধ্বনির মাধ্যমে বাদুর তার আশেপাশের পরিবেশ থেকে স্পষ্ট শব্দ তৈরি করতে সাহায্য করে। এবং এটি পরিবেশ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরিতেও সাহায্য করে। চারপাশের জিনিস খোঁজার এই পদ্ধতিকে বলা হয় ইকো-লোকেশন।
কুকুরেরও রয়েছে প্রখর ঘ্রাণ শক্তি যা নিজেকে খাদ্য খুঁজতে এবং কাউকে অনুসরণ করতে সাহায্য করে।
বিড়ালের লম্বা সংবেদনশীল গোঁফ আছে যা তার চলার পথের চারপাশের বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে ধারণা করতে সহায়ক হয়।
মাছ পার্শ্বীয় রেখা নামক এক ধরনের ইন্দ্রিয় তন্ত্রের সাহায্যে পানির নড়াচড়া অনুভব করতে পারে এবং যখনই সে শক্রর আগমন লক্ষ করে তখনই নিজেকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। নিজেদের সৌন্দর্য উপস্থাপন করে। চেয়ে ভিন্ন।