বইঃলীলাবতী
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদ এর বইয়ের শেষটা নিয়ে আমার বরাবরই আপত্তি থাকে,কেমন যেন মনে হয় শেষটা পড়ে তৃপ্তি পেলাম না।মনের মধ্যে খচখচানিটা লেগেই থাকে।
বহুদিন পরে আগের পড়া একটি বই হাতে নিলাম,হুমায়ূন আহমেদের লেখা মানেই সাবলীল। পড়তে পড়তে কখন সময় কেটে যায় খেয়ালই থাকে না।লীলাবতী বইটিও তেমনি কাহিনীর শুরু সিদ্দিকীকুর রহমানের বকের দিকে থাকিয়ে থাকার মাধ্যমে, খুবই সাধারণ ঘটনা শুধু একটু ব্যতিক্রম, বকটি রেললাইনে দাড়িয়ে ছিলো,,আর তা লেখক তার লেখার জাদুতে আমাদের চোখের সামনে এনে হাজির করেছেন,সিদ্দিকুর রহমানের কৌতূহলী মনোভাব, ভাবুকতা,পাঠককেও ভাবিয়েছে। কাহিনী বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের,,সেই সময়ের ভাটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লেখকের বর্ননায় উঠে এসেছে। এছাড়া প্রত্যেকটা চরিত্র নিজ গুণে অসাধারণ হয়ে প্রতীয়মান, যেমনটা হুমায়ূন আহমেদের বইয়ে হয়ে থাকে,মূল চরিত্র সিদ্দিকুর রহমানের কন্যা লীলাবতী হলেও আরো বেশ কিছু চরিত্র মুগ্ধ করার মতো,যেমন সিদ্দিকুর রহমান নিজে,এছাড়া লীলাবতীর সৎ মা,,যিনি মানসিকভাবে অসুস্থ, পরী( লীলাবতীর সৎ ভাইয়ের স্ত্রী) সহ আরো অনেক চরিত্র বেশ বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।
সিদ্দিকুর রহমানে প্রথম স্ত্রী আয়নার কন্যা লীলাবতী। লীলাবতীর জন্মের আগেই আয়না
সিদ্দিকুর রহমানকে ছেড়ে চলে যায়।আর লীলাবতীর জন্মের সময় আয়নার মৃত্যু হয়,,এর বহুবছর পরে লীলাবতী তার পিতার সাথে দেখা করতে আসে,আর এসেই বোধহয় ভাগ্যচক্রে আঁটকে যায়,কাহিনী এগোতে থাকে।
শুরুতেই বলেছি, হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের শেষটায় আমার বরাবরই আপত্তি। এ বইয়ের ক্ষেত্রেও একই,,পড়া শেষে পরী,মঞ্জুদের জন্য ভালোই লাগে,তবে লীলাবতীসহ আরো অনেকের জন্য মনের মধ্যে একটা শূন্যতা কাজ করে।