pronoye tumi prarthona hou pdf sadat hossen – প্রনয়ে তুমি প্রার্থনা হও সাদাত হোসেন Pdf Download:
পাবলিকেশন্সঃ অন্যধারা প্রকাশনী
আরও পড়ুন-
নীরা জাহিদের রান্নাঘরে ঢুকে নাক চেপে ধরল। জিজ্ঞাসা করল, এটা কি রান্নাঘর? হিদ অর্ধেক হ্যা আর অর্ধেক না-এর মাঝে মাথা নাড়ল, হুমূ। নীরা কটমট করে তাকিয়ে বলল, তোমার এখানে ভেজালবিরোধী অভিযানের ম্যাজিস্ট্রেট এলে মিনিমাম দুই লাখ টাকা জরিমানা করবে। জাহিদ বলল, তুমি একটা কথা বললেই আমার শাস্তি হয়ে যাবে। আমার ওই দুই লাখ টাকার ভয় নাই। কারণ আমাকে বিক্রি করে বারোশো টাকাও পাবে না। দুই লাখ তো অনেক পরের বিষয় । আচ্ছা, জরিমানা কি কিস্তিতে দেওয়া যায়? বলে দেখতে পারো । নীরা জরুব দেয়। কত করে দিতে চাও? এই ধরো মাসে দেড়-দুইশো টাকা । নীরা বলল, বাঃ! সুন্দর । জাহিদ দ্বিধায় পড়ে যায়, আসলেই কি সুন্দর? নাকি উপহাস করছে? টাকা না থাকায় কোনো সমস্যা নেই জাহিদের, নীরার মতো একটা মেয়ে তাকে ভালোবাসে এটাও লাখ টাকার সমান । জাহিদ এটা নিয়ে ভাবতে ভালোবাসে । যদিও এখন এসব ভাবনার সময় নেই । নীরা রান্না করবে সম্ভবত । কিন্তু কী রান্না করবে বুঝছে ন ঘরে বাজার বলতে কিছু নেই। নীরা বলল, তোমার কাছে সম্ভবত টাকা নেই। হিদ বেশ উচ্চকিত কণ্ঠে বলল, আরে টাকা থাকবে না কেন। বলো কী কারণ? আছে। মানিব্যাগ দেখাও । নীরা হাসতে হাসতে বলল । বলল, মানিব্যাগ দেখাতে হবে না। তোমার কী লাগবে নীরা বলল, শোনো জাহিদ ধার করে আরেকজনের কাছে বড়ো হওয়ার মধ্যে কোনো গৌরব নাই । আমি টাকা দিচ্ছি তুমি কিছু বাজার নিয়ে আসো । একটা মুরগি আনবে । আর বাকি সব আনবে তোমার পছন্দে। জাহিদ মাথা নিচু করে টাকাটা নেয়। নীরাকে বলে তুমি শুয়ে শুয়ে পত্রিকা পড়ো। বলেই নীরাকে দেওয়ার জন্য পুরো ঘর খুঁজে একটা পত্রিকা পায় না। নীরা আবার হাসে। হাসতে হাসতে তার ব্যাগ থেকে আজকের একটা পত্রিকা বের করে। জাহিদকে পত্রিকাটা দেখি বলে, জাহিদ আমি নিয়ে এসেছি। তুমি টেনশন কোরো না। আমি পড়ছি। জাহিদ এবার লজ্জায় পড়ে যায়। মেয়েটা এত সার্ট কেন? সে ঠিক করে এই স্মার্টনৈসের কথাটা একদিন বলবে নীরাকে। কিন্তু সরাসরি এই কথাটা বলার সাহস জাহিদের নাই। সে অন্যভাবে কী করে বলা যায় ভাবছে । পেলেই বলে দেবে। নীরা জাহিদকে ডাকে । ত্যাই যাবা না নাকি? জাহিদ অপরাধীর মতো চেহারাঁরুরে বলে, সরি। এখনই যাচ্ছি। দরজায় দীড়িয়ে জাহিদ আব্র ডাকে । নীরা । কী? জাহিদ বলে, আমরা একদিন পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে যাব। নীরা বলে, কী বলো? কক্সবাজারই তো সবচেয়ে দীর্ঘ জাহিদ বলে, না। তোমার সমুদ্র সমান হৃদয় কেউ না দেখলে সেটা বলবেই। আমার কাছে তোমার হৃদয় সমুদ্ধের সৈকতই সবচেয়ে দীর্ঘ । নীরা হাসে । আচ্ছা যাব । আগে তুমি বাজারে যাও। জাহিদ খুশি হয়। যাবে তো? অবশ্যই । নীরা জবাব দেয়। ঠিক আছে। আমরা একটা পুরো দিন সমুদ্রের সামনে দীড়িয়ে রা বলে, না বাবা । আমার এত সাধ নেই । আমার পা ব্যথা হয়ে ও এর [হলে চেয়ার নিয়ে বসে থাকব। রা বলে, শোনেন জাহিদ সাহেব। সমুদ্রের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে থাকা বেয়াদবি। সমুদ্র মানুষের ছুটোছুটি, আনন্দ দেখতে চায়। বসে থাকা গন্তীর অবস্থায় দেখতে চায় না। বাঃ কী সুন্দর বললে! জাহিদ মুগ্ধতা নিয়ে বলে । আমি তো তাহলে ঠিকই বলেছি তুমি ভেতরে একটা সমুদ্র লালন করো। না হলে এসব জানার কথা না। আরে বাবা বাদ দাও তো। একটু বাজারে যাও। আসলে রান্না করে কিছু খাই। জাহিদ এবার হনদন্ত একটা ভাব করে। এবার সত্যি যাচিছি। ডাকলেও আসব না। নীরা হাসে । আমি ডাকবও না। যাও তাড়াতাড়ি।