হিমু সমগ্র PDF, রিভিউ {সবগুলো বই একসাথে}(হুমায়ুন আহমেদ)

বইয়ের সিরিজ (নাম):- হিমু সমগ্র,
লিস্ট(খন্ড):- ১-২৫ সবগুলো বই,
লেখক:– হুমায়ূন আহমেদ,

ফাইল ফরম্যাট:– PDF

কে এই হিমু?

শুধু বাংলা নয়, বিশ্বসাহিত্যে হিমুর মতো কোনো চরিত্র কখনো হয়েছে বা সামনে হবে কিনা সন্দেহ! এরকম অদ্ভুত, উদ্ভট ও ইন্টারেস্টিং একটা চরিত্র আর কি আছে? আমার মনে হয় না আছে। হিমু হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্টি এক ভিন্নধর্মী চরিত্র। হলুদ পাঞ্জাবি পরে, পায়ে জুতা ছাড়া, পকেটে টাকা নেই—তবুও চিন্তামুক্ত ও ব্যস্ত এক জীবন তার। হুমায়ুন আহমেদ নিজেও লিখতে গিয়ে অনেক সময় নিজেকে হিমু ভেবেছেন। পাঠকরাও পড়তে পড়তে নিজেদের মধ্যে হিমুকে খুঁজে পান। একবার হিমু সমগ্র পড়া শুরু করলে পুরো সিরিজ শেষ না করে থাকা কঠিন।

হিমুকে অনেকে পছন্দ করে আবার অনেকে করে না। তারা ভাবে হিমু খুবই বিরক্তিকর একটা চরিত্র। তার অদ্ভুত আচরণ, উদ্ভট কর্মকাণ্ড বিশেষ করে রূপার সাথে তার যে সম্পর্ক বা আলাপচারিতা। আসলে একেকজনের চিন্তার ধরন একেকরকম তাই পছন্দও আলাদা। এ নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে হিমুকে উদ্ভট ও বিরক্তিকর মনে হলেও আপনি উপন্যাসগুলোর দিকে ভাল ভাবে খেয়াল করুন। হিমু নামক এই অদ্ভুত চরিত্র দিয়ে আসলে লেখক হুমায়ূন আহমেদ আমাদের দেশের ও সমাজের কিছু নিষিদ্ধ, গোপনীয়, কঠিন সত্য ও বাস্তবতা তুলে ধরেছিলেন। হিমুর প্রতিটা উপন্যাসেই তৎকালীন সময়ের দারুণ এক বর্ণনা পাবেন। সেই ১৯৯০ সাল থেকে শুরু করে কিভাবে সময়ের সাথে সাথে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হলো সেসব জানতে পারবেন।
একজন ধনী, শিল্পপতি থেকে শুরু করে একজন ভিক্ষুক, রিক্সাচালক, মাস্তান, সন্ত্রাসী, পবিত্র ও শুদ্ধতম মানুষ, জঘন্যতম মানুষ, ভন্ড সাধু, আস্তিক, নাস্তিক, বেশ্যা সব ধরনের মানুষের দেখা আপনি পাবেন। তাদের একেকজনের জীবনযাপনের ধরন ও চিন্তা ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
হিমুর ব্যাপারটাই অন্য রকম। হিমুর কোনো উপন্যাস যখন আপনি পড়তে শুরু করবেন তখন আপনি একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাবেন। নিজেকে হিমুর মত ভাবতে আপনার ভাল লাগবে। হয়েছেও তাই! হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকতে অনেক পাঠককে তিনি হিমু সাজতে দেখেছেন।
হিমুর উপন্যাসগুলো একেক বয়সের মানুষের কাছে একেকভাবে ধরা দেয়। আমি নিজে পুরো হিমু সিরিজ এবার দিয়ে তিনবার পড়ে শেষ দিলাম। কিছু কিছু উপন্যাস এর বেশিও পড়া হয়েছে। ক্লাস নাইনে প্রথম শুরু। তখন যখন পড়তাম এক রকম লাগতো এরপর আরেক রকম এবার আরেক রকম। তবে যে যাই বলুক, যার যেমনই লাগুক আমার কাছে হিমু সব সময়ই পছন্দের তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে।

হিমুকে নিয়ে লেখা মোট ২৫ টি বই খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে।

হিমু সমগ্রের ২৫ টি বইয়ের তালিকা (নাম সমুহ)-

  • ১.ময়ূরাক্ষী (মে ১৯৯০)
  • ২.দরজার ওপাশে (মে ১৯৯২)
  • ৩.হিমু (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩)
  • ৪.পারাপার (১৯৯৪)
  • ৫.এবং হিমু… (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫)
  • ৬.হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম (এপ্রিল ১৪, ১৯৯৬)
  • ৭.হিমুর দ্বিতীয় প্রহর (১৯৯৭)
  • ৮.হিমুর রূপালী রাত্রি (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮)
  • ৯.একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁ ‍ঝিঁ পোকা (মে ১৯৯৯)
  • ১০.তোমাদের এই নগরে (২০০০)
  • ১১.চলে যায় বসন্তের দিন (২০০২)
  • ১২.সে আসে ধীরে (ফেব্রুয়ারি ২০০৩)
  • ১৩.আঙ্গুল কাটা জগলু (ফেব্রুয়ারি ২০০৫)
  • ১৪.হলুদ হিমু কালো র‍্যাব (ফেব্রুয়ারি ২০০৬)
  • ১৫.আজ হিমুর বিয়ে (ফেব্রুয়ারি ২০০৭)
  • ১৬.হিমু রিমান্ডে (ফেব্রুয়ারি ২০০৮)
  • ১৭.হিমুর মধ্যদুপুর (ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০০৯)
  • ১৮.হিমুর নীল জোছনা (ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১০)
  • ১৯.হিমুর আছে জল (ফেব্রুয়ারি ২০১১)
  • ২০.হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী (ফেব্রুয়ারি ২০১১)
  • ২১.হিমু এবং হার্ভার্ড পিএইচডি বল্টু ভাই (অগাস্ট ২০১১)
  • ২২.হিমু মামা (ফেব্রুয়ারি ২০০৪)
  • ২৩.হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য (ফেব্রুয়ারি ২০০৮)
  • ২৪.হিমুর বাবার কথামালা (ফেব্রুয়ারি ২০০৯)
  • ২৫.ময়ূরাক্ষীর তীরে
হিমু সিরিজের প্রতিটা উপন্যাসের আলাদা আলাদা রিভিউ দিয়েছি। সাল অনুযায়ী দিয়ে দিয়েছি। এই অনুযায়ী পড়লে বেশি উপভোগ করতে পারবেন আশা করি।

সংক্ষিপ্ত রিভিউ (২৫টি বইয়ের)

১. ময়ূরাক্ষী (১৯৯০):

১৯৯০ সালে প্রকাশিত হওয়া হিমু সিরিজের প্রথম উপন্যাস এটি। এই উপন্যাসের মধ্য দিয়েই হিমুর উদ্ভট সব কর্মকাণ্ডের শুরু। এই বইতে হিমুর বাবার মৃত্যু, তার দাদাজানের বাড়ি, তার বড়ফুপু ও ফুপা, ফুপাতো ভাইবোন বাদল ও রিনকি এবং হিমুর পিশাচ শ্রেণির তিন মামা ও মামার বাড়ির সম্পর্কে বলা হয়েছে। সাথে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং যেটা তা হল রূপার সাথে হিমুর পরিচয় পর্বের গল্পটাও এই বইতেই বলা হয়েছে। হিমুর একটা নিজস্ব নদী আছে যার নাম ময়ূরাক্ষী। আবার সে রূপাকেও এই নামেই ডাকে। এজন্যই বোধহয় উপন্যাসের নাম ময়ূরাক্ষী। পাশাপাশি আরও কিছু চরিত্র গল্পে আছে যেমন মজিদ এবং মীরা।
 
২. দরজার ওপাশে (১৯৯২):
হিমু সিরিজের দ্বিতীয় বই এটি। এটাতেও হিমুর আজব আজব সব চিন্তাভাবনা, কিছু অলৌকিক ক্ষমতা, কিছু উদ্ভট কর্মকাণ্ডের মজাদার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। সাথে রয়েছে আরও কিছু চরিত্র। একজন মন্ত্রী ও তার পরিবার। থানার একজন ওসি ও তার অসুস্থ স্ত্রী। হিমুর ছোট মামা। হিমুর ফুপা ও বাদল। আর হিমুর একজন বন্ধু রফিক ও তার স্ত্রী। এদেরই আমার বেশি পছন্দ হয়েছে। সব মিলিয়ে মজাদার এবং বেশ ইমোশনাল একটা বই।
৩. হিমু (১৯৯৩):
হিমু টাইটেল নিয়েই প্রকাশিত সিরিজের তৃতীয় বই। আগের দুইটা বইয়ের চাইতে এটাতে হিমুকে আরও বেশি উদ্ভট কর্মকান্ড ও অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন বুঝানো হয়েছে। তবে এই বইতে বেশ কিছু গড়মিল আছে। যেমনঃ হিমুর পাঞ্জাবিতে পকেট, পকেটে মানিব্যাগ, পায়ে স্যান্ডেল, বড় ফুপার কাছ থেকে প্রতি মাসে পাওয়া টাকা। আগের দুই বইতে বলা হয় ৫০০ টাকার কথা এই বইতে ৪০০। বেশ কিছু চরিত্র নিয়ে সাজানো বইটি। ইয়াদ,নীতু, টুটি-ফুটি নামের দুইটা কুকুর, এষা, মোরশেদ, একজন সাইকিয়াট্রিস্ট, মজনু মিয়া আর বিশেষ করে রূপা।
৪. পারাপার (১৯৯৩):
ঢাকা শহরের এক বিত্তবান লোক ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। তিনি স্বপ্নে তার স্ত্রীকে উপদেশ দিতে দেখেছেন পবিত্র মানুষের রক্ত তার শরীরে নিলে তিনি ভাল হয়ে যাবেন। আর এই কাজের ভার এসে পরেছে হিমুর উপর। হিমু কি পারবে শেষ অব্দি পবিত্র মানুষ খুঁজে পেতে। অন্য সব বইয়ের মতই এটাতেও হিমুর মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক ক্ষমতা দেখানো হয়েছে। অন্য সব বইয়ের চেয়ে এই বইতে রূপা চরিত্রটাকে বেশ সময় দেয়া হয়েছে। অন্য সব চরিত্রগুলাও দারুণ। তবে এই বইতে হিমুর বড় ফুপু ও ফুপাকে খালা ও খালু হিসেবে দেখানো হয়েছে।
৫. এবং হিমু (১৯৯৫):
এই বইয়ের শুরুটা বেশ নাটকীয়। হিমুর সাথে রাতের টহল পুলিশের একটা ঘটনা। এরপর বাদলের গলা থেকে মাছের কাটা নামানো। রেশমা খালার বাসায় হিমুর কিছুদিন থাকা। বদরুল আলমের চাকরি, রূপার সাথে ফোনে কথা। ইরা নামের মেয়েটির সাথে গল্পের সমাপ্তি। পুরো উপন্যাসই মজাদার কিছু ঘটনা দিয়ে সাজানো সাথে কঠিন কিছু বাস্তবতাও দেখানো হয়েছে।
৬. হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম (১৯৯৬):
হিমুর উদ্ভট সব কান্ড এবং অযৌক্তিক চিন্তাভাবনা রয়েছে উপন্যাসের পুরোটা জুড়েই। এছাড়াও বইতে সেই সময়ের রাজনৈতিক অবস্থার বিবরণ দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা ও এরশাদ তিনজনের দলের বর্ণনাই সমানে সমানে দেয়া আছে। মরিয়ম যার ডাকনাম মারিয়া মূলত এই মেয়েকে ঘিরেই গল্প এগিয়ে চলেছে। আসাদুল্লাহ সাহেব, বাদল, আসগর সাহেব, কাওরান বাজারের ন্যাংরা কুকুর সহ অনেক চরিত্রই রয়েছে বইতে।
৭. হিমুর দ্বিতীয় প্রহর (১৯৯৭):
অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম হিমুর সঙ্গে মিসির আলীর দেখা করিয়ে দেব। দুজন মুখোমুখি হলে অবস্থাটা কি হয় দেখার আমার খুব কৌতূহল। ম্যাটার ও এন্টিম্যাটার একসঙ্গে হলে যা হয় তাঁর নাম শুন্য। মিসির আলী ও হিমুও তো এক অর্থে ম্যাটার ও এন্টিম্যাটার। দুটি চরিত্রের ভেতর কোনটিকে আমি বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি সেটা জানার জন্যেও এদের মুখোমুখি হওয়া দরকার। হিমুর দ্বিতীয় প্রহরে এদের মুখোমুখি করিয়ে দিলাম।
হুমায়ুন আহমেদ
বেশ ইন্টারেস্টিং একটা বই। হিমু ও মিসির আলীর সাক্ষাৎ ছাড়াও বেশ কিছু গল্প রয়েছে বইতে। মীরা নামের মেয়ের বিয়ে এবং তার বাবার গল্প। বাদলের বিয়ে নিয়ে বেশ মজাদার একটি গল্প। সবশেষে হিমু ও মিসির আলীর সাক্ষাৎ ভৌতিক একটা ঘটনার ব্যাপারে।
৮. হিমুর রূপালী রাত্রি (১৯৯৮):
হিমু সিরিজের আরেকটা বেস্ট উপন্যাস। হিমুর এক খালু হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা যান। উনি মারা যাওয়ার পর দেখা যায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন। এইসব হিমুর খালাকে দেখাশোনা করতে হচ্ছে। কিন্তু ঝামেলা বাধছে হিমুর খালু ইয়াকুব নামের এক লোকের নামে একটি বাড়ি ও দশ লক্ষ টাকা রেখে গেছেন। কে এই ইয়াকুব? তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব পরেছে হিমুর উপর। হিমু কি পারবে ইয়াকুব নামের লোকটিকে খুঁজে বের করতে?
এছাড়াও উপন্যাসে তামান্না নামের মেয়ের সাথে হিমুর বিয়ে ঠিক হওয়া, বুলবুল নামের ম্যানেজার, রমনা থাকার ওসি, হিমুর ছোট বেলার বন্ধু আরিফ ওরফে ব্যাঙাচি খুবই মজাদার একটা চরিত্র , একজন মিলিটারি অফিসার, একটি ইচ্ছাপূরণ পাথর এবং সবশেষে রূপা।
৯. একজন হিমু এবং কয়েকটি ঝিঁ ঝিঁ পোকা (১৯৯৯):
হিমু কখনো জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে না। ছোটখাট ঝামেলায় সে পড়ে। সেই সব ঝামেলা তাকে স্পর্শও করে না। সে অনেকটা হাঁসের মত। ঝাড়া দিল গা থেকে ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল।
আমার খুব দেখার শখ বড় রকমের ঝামেলায় পড়লে সে কী করে। কাজেই হিমুর জন্যে বড় ধরনের একটা সমস্যা আমি তৈরি করেছি এবং খুব আগ্রহ নিয়ে তার কাণ্ড–কারখানা দেখছি।
হুমায়ূন আহমেদ
নুহাশপল্লী, গাজীপুর।
লেখকের ভূমিকার মত আমার কাছে ঝামেলাটা তেমন বড় মনে হয়নি। উপন্যাসের নামের সাথে গল্পের তেমন কোনো মিলও খুঁজে পাইনি। তবে উপন্যাসটা বেশ মজাদার। পুলিশের বড় অফিসার, তার মেয়ে জুই, হাদি সাহেব, হাদি সাহেবের মেয়ে পাখি, একটি হাতির বাচ্চা, হিমুর মালিহা খালা ও তার স্বামী, মসলেম মিয়া এবং সবশেষে রূপা। এদের নিয়েই দারুণ এক উপন্যাস এটি।
 
১০. তোমাদের এই নগরে (২০০০):
ফরিদা খালা হিমুকে জরুরি তলব করেছেন। গিয়ে দেখা গেল আমেরিকার নিউ জার্সি থেকে আশা নামের এক কিশোরী এসেছে বাংলাদেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখতে। এজন্য তাকে বাংলাদেশ ঘুরে দেখতে হবে আর সেই দায়িত্ব এসে পরেছে হিমুর কাধে। এরকম বিদেশিনী কি হিমুকে অগ্রাহ্য করতে পারবে নাকি হিমুর প্রেমে পরবে? শেষ অব্দি পড়তে হবে এটা জানতে। এছাড়াও রয়েছে মেস ম্যানেজার আবুল কালাম এবং জয়নাল সাহেব। এদের গল্পগুলোও দারুণ।
এই বইতেই হিমুকে নিয়ে তার খালা এই মন্তব্যটি করেন এবং অহংকারবোধ করেন….
উনি বললেন, হিমু যেই বুঝে কেউ তার জন্যে অপেক্ষা করছে ওমনি সে ডুব মারে। ও বুঝে ফেলেছে তুই তার জন্যে অপেক্ষা করছিস; কাজেই ডুব মেরেছে।
আমি বললাম, প্রতিদিন উনি এক শ ডলার করে পাবেন এটা তার কাছে কোনো ব্যাপার না?
উনি বললেন, দৈনিক এক হাজার ডলারও তার কাছে কোনো ব্যাপার না। কারণ সে হল— হিমু।
১১. চলে যায় বসন্তের দিন (২০০২):
মাজেদা খালা হিমুকে জরুরি তলব পাঠিয়েছেন। তার একমাত্র ছেলে জহির নষ্টা এক মেয়েকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গেছে। মেয়ের নাম ফুলফুলিয়া, যে মেয়ের নাম ফুলফুলিয়া আর ক্লিনিকে আয়ার কাজ করে সেই মেয়েকে নাকি বিয়ে করতে চায় ঢাবিতে পড়া জহির। এই মেয়ের ভূত জহিরের মাথা থেমে নামানোর দায়িত্ব পরেছে হিমুর উপর। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। জহির পালিয়ে যায় আর সেই রাগে জহিরের বাবা হিমুর পেছনে পুলিশ লাগিয়ে দেন। পুলিশ মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হিমুকে ফাসির আসামি বানিয়ে দেয়।
এত বড় ঝামেলা থেকে কি হিমু বেরোতে পারবে? জহির আর ফুলফুলিয়ার কি বিয়ে হবে শেষ অব্দি?
এসব জানতে দারুণ এই বইটি পড়তে হবে।
১২. সে আসে ধীরে (২০০৩):
মাজেদা খালার বান্ধুবী আসমা তার স্বামীর সাথে থাকেন অস্ট্রেলিয়াতে। সমস্যা হচ্ছে এই দম্পতির কোনো সন্তান হয় না। অনেক রকমের চিকিৎসা করিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এজন্য তারা চান বাংলাদেশ থেকে বাচ্চা দত্তক নিতে। এই দায়িত্ব এসে পরেছে হিমুর উপর। হিমু সাথে সাথেই ইমরুল নামের এক বাচ্চার কথা জানিয়ে দিয়েছে। ইমরুলের মা ফরিদা অনেক অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। তার চিকিৎসার জন্যে অনেক টাকা লাগবে। ইমরুলের বাবা হাবিবুর সাহেব সেই টাকার চিন্তায় থাকেন সব সময়, কিন্তু কিছু করতে পারেন না। তাই হিমুর ইচ্ছা ইমরুলকে আসমার কাছে দত্তক দিবেন বিনিময়ে টাকা নিয়ে ইমরুলের মায়ের চিকিৎসা করাবে। এছাড়াও মাজেদা খালার স্বামী মানে হিমুর খালু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন। তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। কথা বলা ফিরিয়ে আনার জন্য মামা পীরের যে চিকিৎসা তা জেনে আপনি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিবেন।
১৩. আঙুল কাটা জগলু (২০০৫):
হিমু সিরিজের অন্যতম একটি উপন্যাস। আঙুল কাটা জগলু নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী হিমুকে ধরে নিয়ে আসে তার লোক দিয়ে। হিমুকে পুলিশের ইনফরমার অথবা অন্য দলের লোক ভেবে। হিমুকে তাদের আস্তানায় নেয়ার পর দেখা যায় সেখানে মনসুর নামের এক বড় ব্যবসায়ীকে আটকে রাখা হয়েছে বিশ লক্ষ টাকার জন্য। আঙুল কাটা জগলুর আস্তানায় গিয়েই শুরু হয় হিমুর বিখ্যাত হিমুগিরি। আর এখান থেকেই মজাদার এক গল্পের শুরু। পুরো বইটা পড়েই বেশ ভালো লাগবে। বিশেষ করে মতি মিয়ার লাশ নিয়ে ঘুরার ব্যাপারটা। প্রায় ৮ বছর পর এই উপন্যাসে বাদল চরিত্রটি ফিরে আসে। এছাড়া মিতু নামের মেয়ে, জগলুর ছেলে বাবুর জন্য ভূতের বাচ্চা ধরা, শুভ্রর সাথে জগলুর রাত কাটানো আর টাকা ভর্তি স্যুটকেস নিয়ে হিমুর ঘুরাঘুরি। সব মিলিয়ে দারুণ বই।
১৪. হলুদ হিমু কালো র্যাব (২০০৬):
হিমু এক বাচ্চা ছেলের কাছ থেকে কফি খেয়ে তাকে টাকা না দিয়ে ভয় দেখাতেই সে চা কফির ফ্লাস্ক ফেলে পালায়। হিমু সেই ফ্লাস্ক নিয়ে নিজেই চা কফি ফেরি করে বিক্রি শুরু করে। এরই মধ্যে রাতে হঠাৎ হিমুকে ধরে নিয়ে যায় এক দল র্যাব। ইনভেস্টিগেশন রুমে আজগুবি সব কথা জানতে পারেন হিমুর ব্যাপারে। কিন্তু তারা সেসব বিশ্বাস করে না। এক পর্যায়ে রুমে থাকা এক অফিসার হিমুকে চড় মারতে গিয়ে হুমরি খেয়ে পরে স্ট্রোক করে কোমায় চলে যান। এদিকে হিমুর মাজেদা খালা হিমুকে খবর দিয়ে বলেন তার স্বামী নাকি এক বেশ্যা মহিলার পাল্লায় পরেছেন। এদেরকে শায়েস্তা করার দায়িত্ব দেন হিমুকে। পরে অবশ্য সেই মহিলার পাল্লায় পরে হিমুর খালু নিজেই শায়েস্তা হয়ে যান। আবার হিমুর খালা বাড়িতে এক চাইনিজ মেয়েকে নিয়ে আসেন তার পা ম্যাসাজ করার জন্য। পরে তার সাথে হিমুর বিয়ে ঠিক করেন। শেষ অব্দি বিয়েটা কি হয় আর র্যাবের হাত থেকে হিমু রেহাই পায় কিনা এসব জানতে চাইলে পড়তে হবে বইটি। এই উপন্যাসে তখনকার সময়ের বেশ কিছু নতুন ব্যাপার উঠে আসে যেমনঃ র্যাব, ক্যামেরা ফোন, হিরোইন।
১৫. আজ হিমুর বিয়ে (২০০৭):
নাম দেখেই বুঝতে পারছেন সবাই হিমুর বিয়েকে ঘিরেই উপন্যাস। হিমুর খালুর এক আমেরিকান বন্ধুর মেয়ে নেশাখোর এক ছেলের পাল্লায় পরে যা তা অবস্থা। নেশাখোর ছেলের হাত থেকে বাচাতে সেই মেয়েকে ঘরে বন্দী রেখে তার বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। হাতের কাছে কোনো ছেলে না থাকায় মাজেদা খালার মাথায় নাম আসে হিমুর। আর এজন্যই তিনি হিমুকে ফোন দিয়ে জরুরি ভাবে ডেকে পাঠান। এখান থেকেই উপন্যাসের শুরু। নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হয় উপন্যাস। শেষ অব্দি হিমুর কি বিয়ে হয়??
বইটা হিমু সমগ্রে নেই। তবে আমি পড়েছি পিডিএফ থেকে।
১৬. হিমু রিমান্ডে (২০০৮):
হিমুকে শীর্ষ সন্ত্রাসী আয়না মজিদ সন্দেহে পুলিশ ধরে এনে রিমান্ডে নিয়েছে। সেখান থেকে খুব সহজেই হিমু পালিয়ে বের হয় এবং চলে যায় দায়িত্বরত পুলিশের বাসায়। সেখানে তার স্ত্রী শোভাকে বোকা বানিয়ে বেশ নাটকীয়তার জন্ম দেয়। কাকতালীয়ভাবে হিমুর খালুর কাছে আয়না মজিদ দুলাখ টাকা চেয়ে হুমকি দিয়েছে। সেই টাকা পৌঁছে দেবার দায়িত্ব পরেছে হিমুর উপর। সেখানে হিমুর সাথে আয়না মজিদের সাক্ষাৎ হয়। হিমু আয়না মজিদকে নিয়ে কঠিন এক খেলায় মেতে উঠে। কি সেই খেলা? এর পরিণতিই বা কি?
এছাড়াও উপন্যাসে আছে হাবীব নামের মিষ্টির দোকানী, তার স্ত্রী, বাদল, লম্বু খোকন, বকুল নামের বাচ্চা একটা মেয়ে ও একটি নেড়ি কুকুর।
১৭. হিমুর মধ্যদুপুর (২০০৯):
মাজেদা খালা হঠাৎ একদিন রাস্তায় হিমুকে জিজ্ঞেস করে হিমু তুই কি আমাকে একটা কিডনী দিবি। হিমু যদিও কারো কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার মানুষ না।তবুও সে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়। এ আবার মাজেদা খালার নতুন কোন রহস্য?
জানা যায় পল্টু নামের এক লোকের দুটো কিডনীই ড্যামেজ। তার জন্যে কিডনী খোজা হচ্ছে। এজন্যই হিমুকে লাগবে। ঘটনাচক্রে হিমু সেই লোকের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। এরপর থেকেই নানা রকম নাটকীয় কান্ডকারখানা শুরু হয়। গল্পে আগমন ঘটে রানু নামের এক মেয়ের, বাদলের, পল্টু নামের সেই লোকের এক রিলেটিভ ছাত্তার সাহেব ও তার ছেলে সোহাগের সাথে কিসলু নামের এক মাস্তানের, বাদলের বাবা এবং থানার ওসি ও তার স্ত্রী।
হিমুর উদ্ভট সব কান্ডকারখানা বিরক্ত লাগলেও এই উপন্যাসে বেশ ভাল লাগবে। শেষ অব্দি গিয়ে অন্য রকম এক আনন্দ পাবেন। মুখে মুচকি হাসি ফুটে উঠবে। এসবের পাশাপাশি কঠিন কিছু বাস্তবতাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বইতে।
১৮. হিমুর নীল জোছনা (২০১০):
এই উপন্যাসে মূলত তৎকালীন সময়ের বাংলাদেশের ক্ষমতাধর মানুষদের অন্যায়,অবিচার ও দূর্নীতির উল্লেখ করা হয়েছে। উপন্যাসের প্রথম এবং শেষ দিকে হিমুকে রাখলেও মাঝখানে হিমুকে বাদ দিয়েই গল্প এগিয়েছে। গল্পের এক পর্যায়ে আঙুল কাটা জগলুর কথাও বলা হয়েছে। গল্পে আরও আছে ওসি নাজমুল হুদ, নায়িকা রিনকি, ওসি গফুর, সেকেন্ড অফিসার আখলাক, কিসলু, কংকন, ছামাদ, কেয়া খেয়া ও তাদের বাবা, দুজন বৃদ্ধ বৃদ্ধা এবং শেষে রূপা।
১৯. হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী (২০১১):
মাজেদা খালা হিমুকে খবর দিয়ে দিয়ে বলতে লাগলেন, হিমু তুই কি পরী দেখেছিস? ডানাকাটা পরী?
ঘটনা হচ্ছে, আমেরিকা থেকে একটা মেয়ে আসছে বাংলাদেশে কিছু ছবি তুলার জন্য। তার বাবা মা রাশিয়ান কিন্তু সে জন্মসূত্রে আমেরিকান। তার একজন গাইড লাগবে আর এই দায়িত্ব পরেছে হিমুর উপর। পাশাপাশি মাজেদা খালা চান এই মেয়েকে হিমু তার অদ্ভুত অদ্ভুত কথার জালে ফাসিয়ে প্রেম করে বিয়ে করে তার সাথে আমেরিকা চলে যাক। যাতে হিমুর একটা গতি হয়। মেয়েটা বাংলাদেশে আসার আগেই নানান রকমের নাটকীয়তা শুরু হয়। হিমু একটা বাচ্চা মেয়ে ও তার মায়ের সাথে পরিচিত হয়। এতে করে প্রচুর ঝামেলাও হয়। এরপর হিমু যায় থানায় সেখানে পরিচয় হয় আলম ও কাদেরের সাথে। থানার ওসি সাহেবের সাথেও কথা হয়। সাথে আছেন মাজেদা খালার স্বামী ও ধোয়া বাবা। উপন্যাসটা প্রথম দিকে ভাল না লাগলেও শেষে গিয়ে বেশ ভালোই লাগার কথা।
২০. হিমুর আছে জল (২০১১):
হিমুর পায়ের নিচে সবসময় মাটি থাকে। সে হেঁটে বেড়ায় বিষণ্ণ ঢাকা নগরীর পথে পথে। আচ্ছা, তার পায়ের নিচে থেকে মাটি সরিয়ে নিলে কেমন হয়? সে থাকুক কিছু সময় পানির উপরে। দেখা যাক তার চিন্তা-ভাবনায় কোনো পরিবর্তন আসে কি না।
ও আচ্ছা! এবার তাকে তার কাছাকাছি চরিত্রের তরুণীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। মেয়েটির নাম তৃষ্ণা। তৃষ্ণা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, চক্ষে আমার তৃষ্ণা, তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে। সেখানে সম্পূর্ণ তৃষ্ণামুক্ত (?) হিমু কী বলবে।
২১. হিমু এবং হার্ভার্ড Ph.D. বল্টুভাই (২০১১)
আমার কিছু পাঠক আছেন, যারা হিমু-বিষয়ক রচনাগুলি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন। এই উপন্যাসটির ক্ষেত্রে তারা যেন সে রকম কিছু না ভাবেন। এখানে গল্পকার হিসাবে আমি নেহায়েতই এক গল্প ফেঁদেছি। ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়ে তুলনামূলক আলোচনায় যাই নি। সেরকম ইচ্ছা হলে আমি জটিল প্ৰবন্ধই লিখব। হিমু রচনায় হাত দেব না।
হিমু বিষয়ক প্রতিটি লেখাতেই আমি এই ভুবনের রহস্যময়তার দিকে ইঙ্গিত করেছি। এর বেশি কিছু না। আমি নিজে জগতের রহস্যময়তা দেখে প্রতিনিয়ত অভিভূত হই। আমি চাই, আমার পাঠকরাও অভিভূত হোক।
এই উপন্যাসের লেখার ধরনে লেখক কিছু পরিবর্তন এনেছেন। প্রতিটা চরিত্রের আলাদা আলাদা আত্মকথন। ব্যাপারটা খুব একটা ভাল লাগেনি। লেখক বেঁচে থাকলে হয়তো পরের উপন্যাসগুলো এভাবেই লিখতেন।
এই উপন্যাসের মাধ্যমেই হিমু নামের অদ্ভুত ও অনন্য এক সৃষ্টির সমাপ্তি ঘটে। হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে হয়তো হিমুকে আমরা আবার দেখতে পেতাম। ব্যাপারটাও বেশ ইন্টারেস্টিং হতো। কারণ ততদিনে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে গেছে। স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট, ফেসবুক, গুগল, টুইটার সহ আরও কত কি উড়ে এসে জুড়ে বসেছে এই বাংলায়। এগুলোর সাথে হিমুর হিমুগিরি কেমন হতো দেখার ইচ্ছাটা ইচ্ছা হিসেবেই থেকে গেল।

এছাড়াও যে ৪টি বই রয়েছে-

২২.হিমু মামা (ফেব্রুয়ারি ২০০৪):
হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট একটি চরিত্র হচ্ছে ‘হিমু’। শিরোনামে ‘হিমু’ কথাটি থাকলেও এই বইয়ে হিমু চরিত্রের উপস্থিতি নেই কোথাও। বইটির কাহিনী ‘শুভ্র’ নামের একটি ছেলেকে কেন্দ্র করে, যে ‘হিমু’ হওয়ার চেষ্টা করে এবং তা করতে গিয়ে বিভিন্ন মজার ঘটনা ঘটায়। শুভ্রের ভাগ্নে ‘টগর’ এসব ঘটনা ডায়েরিতে লিখে রাখে; আর এখানে থেকেই বইটির নাম দেয়া হয়েছে হিমু মামা।

২৩.হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য (ফেব্রুয়ারি ২০০৮):

বই বিষয়ে চৈনিকদের একটি প্রবচন হচ্ছে- বই হলো একটা বাগান যা পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। গল্প সংকলনের জন্য এই প্রবচন খুব সত্যি। বাগানে নানান ধরনের ফুল, সৌরভ আছে বর্ণ নেই। বর্ণ আছে গন্ধ নেই। গল্প সংকলনেওতো এই ব্যাপারই।
প্রতিটি গল্প শুরুর আগে গল্প বিষয়ে কিছু কথাবার্তা বললাম। গল্পটি কেন লিখেছি, কিভাবে লিখেছি এই সব হাবিজাবি। যে সমস্ত পাঠক হাবিজাবি পছন্ত করেন না তারা মূল গল্পে চলে গেলে ভাল হয়।
সংকলনটি নাম আমার দেয়া না। প্রকাশকের দেয়া। তার ধারণা হিমু নামটা কোন না কোন ভাবে থাকা মানেই বেশি বিক্রি। আমি তরুণ প্রকাশকের ভুল ভাঙ্গাইনি।

২৪.হিমুর বাবার কথামালা (ফেব্রুয়ারি ২০০৯):

চল্লিশ পৃষ্ঠার এই ব্যতিক্রমী বইটি মূলত হিমুর দর্শন ও জীবনের অদ্ভুত দিকগুলো ঘিরে। হুমায়ূন আহমেদ এখানে হালকা রসিকতা, ব্যঙ্গ আর গভীর চিন্তার মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। বইটি কেবল হিমুর ভক্তদের জন্য উপভোগ্য, তবে কিশোর-তরুণদের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে বলেই লেখক সতর্ক করেছেন। সারকথা—এটি হিমুপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ অথচ বিতর্কিত পাঠ্য।

২৫.ময়ূরাক্ষীর তীরে:

হুমায়ুন আহমেদের এই উপন্যাসে রয়েছে নদী, গ্রামীণ জীবন আর মানুষের সম্পর্কের সূক্ষ্ম টানাপোড়েন। গল্পটি মায়াময় অথচ বাস্তব, যেখানে জীবনের সুখ-দুঃখ, ভালোবাসা ও বেদনা নদীর মতো বয়ে চলে। ভাষা সহজ, পাঠককে টেনে নিয়ে যায় একেবারে চরিত্রদের জীবনের ভেতর।
সারকথা: “ময়ূরাক্ষীর তীরে” একসাথে গ্রামীণ সৌন্দর্য ও মানবিক আবেগের এক অসাধারণ মেলবন্ধন।

হিমু সমগ্র PDF

হিমু সমগ্র ১,২,৩ pdf Download link-

  1. ময়ূরাক্ষী pdf– মে ১৯৯০ : link1link2
  2. দরজার ওপাশে pdf– মে ১৯৯২: link1 – link2
  3. হিমু ফেব্রুয়ারি pdf– ১৯৯৩
  4. পারাপার pdf১৯৯৪
  5. এবং হিমু pdfফেব্রুয়ারি ১৯৯৫
  6. হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম pdf – এপ্রিল ১৪, ১৯৯৬
  7. হিমুর দ্বিতীয় প্রহর pdf– ১৯৯৭
  8. হিমুর রূপালী রাত্রি pdf– ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮
  9. একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁ ‍ঝিঁ পোকা pdf – মে ১৯৯৯
  10. তোমাদের এই নগরে pdf– ২০০০
  11. চলে যায় বসন্তের দিন pdf– ২০০২
  12. সে আসে ধীরে pdf– ফেব্রুয়ারি ২০০৩
  13. আঙ্গুল কাটা জগলু pdf– ফেব্রুয়ারি ২০০৫
  14. হলুদ হিমু কালো র‍্যাব – ফেব্রুয়ারি ২০০৬
  15. আজ হিমুর বিয়ে pdf– ফেব্রুয়ারি ২০০৭
  16. হিমু রিমান্ডে pdf– ফেব্রুয়ারি ২০০৮
  17. হিমুর মধ্যদুপুর pdf– ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০০৯
  18. হিমুর নীল জোছনা pdf– ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১০
  19. হিমুর আছে জল pdf– ফেব্রুয়ারি ২০১১
  20. হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী pdf ফেব্রুয়ারি ২০১১
  21. হিমু এবং হার্ভার্ড পিএইচডি বল্টু ভাই pdf– অগাস্ট ২০১১
  22. হিমু মামা pdf– ফেব্রুয়ারি ২০০৪
  23. হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য pdf– ফেব্রুয়ারি ২০০৮
  24. হিমুর বাবার কথামালা pdf– ফেব্রুয়ারি ২০০৯
  25. ময়ূরাক্ষীর তীরে pdf

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *