Title | সাইকোদের মতবিনিময় সভা |
Author | মদিনা জাহান রিমি |
Publisher | চন্দ্রবিন্দু |
ISBN | 9789848084687 |
Edition | 1st Published, 2020 |
Number of Pages | 108 |
Country | বাংলাদেশ |
Format | epub, MOBI, Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড) |
গল্পের প্লট ইউনিক৷ এমন গল্প খুব একটা পড়া হয় নাই কিংবা সম্পূর্ণ নতুনই বলা যায়৷ শারিরীক অসুস্থতা ছাড়াও মানসিক অসুস্থতা যে সত্যিকার অর্থেই অসুস্থতা বা অসুখ এই উপলব্ধি যতোদিন আমাদের সমাজ এবং সমাজের মানুষ না মানতে পারবে ততোদিন জয়ন্ত, দীপা, সঞ্চয়িতাদের মর্মান্তিক পরিণতি চলমান থাকবে৷
মেধাবী, সাহসী এবং উদ্যমী তরুণদের স্বপ্ন বুক পকেটে চাপা পরে পরিবার, প্রেমিকা, সমাজ কিংবা সরকারের অবমূল্যায়নে৷ প্রবাসে যারা স্বদেশ খোঁজে ফিরেন; সংগ্রাম করেন জীবন আর জীবিকার জন্য তারই একটা চিত্রকল্প আছে এখানে৷
“সাইকোদের মতবিনিময় সভা” উপন্যাস গতানুগতিক ধারার উপন্যাসের চেয়ে আলাদা; একে প্যারাসাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, কিংবা ডায়াসপোরা সাহিত্য হয়তো বলা যায়৷
গল্পের নির্মাণ বা শুরুর অংশ ছিলো বিরক্তিকর, ১০/১৫ পেইজ পড়ে আর পড়তে মন চায় না এমন৷ কিন্তু কাহিনী যখন সামনে এগিয়ে যেতে থাকে রহস্য জট লাগতে শুরু করে; এবং সেই রহস্য যেভাবে থ্রিলিং পর্যায়ে গিয়ে উন্মুক্ত হয় তখন শুরু বিরক্তির লেশমাত্র থাকে না; তার বদলে মন খারাপ হয়, জয়ন্ত’র জন্য মায়া হয়! কিছু মানুষ থাকে যারা আজীবন ভালোবাসার বদলে আঘাত-ই পায়৷
প্রত্যেকটা প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিক-প্রেমিকার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং বিশ্বাস খুবই জরুরি৷ প্রেম করছে বলেই একজন মানুষের আর কোনো বন্ধু থাকবে না শুভাকাঙ্ক্ষী থাকবে না এই ধরনের মানসিকতা পরিবর্তন দরকার৷
আর, “সাময়িক বিচ্ছেদ” কোনো রিলেশনশিপের ভুলবোঝাবুঝির সমাধান কখনোই হয় না৷ সম্পর্কে সময় দিতে হয়, বুঝতে হয়, বুঝাতে হয়৷
লেখিকা মোট
১৩ পর্বে ১০৭ পৃষ্ঠার উপন্যাসটি শেষ করেছেন৷ কিন্তু তিনি পর্ব আকারে কেনো ভাগ করলেন আমার বুঝে আসে নাই৷ গল্পের কাহিনির প্লট পরিবর্তন হয়ে অন্য কাহিনী যখন আসছে তখন পর্ব শেষ হয়ে নতুন পর্ব শুরু হওয়ার কথা; কিন্তু এখানে তেমন কোনো চিহ্ন নাই৷ এমনকি একটা লাইন গ্যাপ দিয়ে আলাদা প্যারাও করেন নাই৷
কয়েকটা বিষয় দৃষ্টিকটু লাগছে৷
* বইয়ে তিনি গালাগাল শ্লীল নাকি অশ্লীল ভাষায় লিখবেন এইটা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন বোধহয়৷ ১ম পর্বে “গরম” লিখে আবার ঐ পর্বেই “পাছায় চিমটি” এবং ২য় পর্বে সরাসরি গালির উল্লেখ্য না করে “চ-বর্গীয় কিছু গালি” বলে পাশ কাটিয়ে গেছেন আবার শেষের দিকে পুদে লাথির উল্লেখ্যও করেছেন৷
গল্পের চরিত্রের প্রয়োজনে গালি কিংবা খিস্তি লিখতে হইলে লিখবেন এতে দ্বিধা দ্বন্দ্বের কিছু নাই৷
* সংলাপের ধারাবাহিকতা ছিলো না৷
দীপার সংলাপগুলো চলিত ভাষাতেই ছিলো পুরো উপন্যাসে কিন্তু ৪৩ পেইজে কথ্যভাষা ব্যবহার করেছেন৷ পেইজ ৭৬ এ “পারবা” “করলা” এমন কিছু শব্দও আছে৷
এতে করে পাণ্ডুলিপি নিয়ে তাড়াহুড়ো স্পষ্ট হয়৷
“আমার সাথে সাইকোলজি কপচাইতেছো ক্যান”
* অহেতুক কিছু ইংরেজি শব্দের ব্যবহার ছিলো৷
* গল্পের সাথে সামঞ্জস্যতা নেই এমন কিছু ঘটনা দিয়ে মেদ জমিয়েছেন৷
* বানান ভুল ছিলো বেশ কিছু জায়গায়৷ আবার অপ্রচলিত কিছু শব্দের মাধুর্যহীন ব্যবহার ছিলো৷
ভালো লাগা কিছু উক্তিঃ
* যে ব্যক্তি সব সময় একা সিগারেট ধরায়, তার মতো নিঃসঙ্গ আর কেউ নেই৷
* বিশ্বাসের অভাবে ওদের এই সম্পর্ক সুদীর্ঘ হয়নি৷ কারণ দুজনেই মনে করেছিলো তারা একে অপরকে ভুলে গিয়েছে এবং দুজনেই যোগাযোগ করার তাগিদ অনুভব করেনি৷
* একটা মেয়ে এতোটাও সুন্দর হতে পারে যে তার দিকে তাকালে ঈশ্বরও নিজের সৃষ্টির প্রেমে মাঝে মাঝে পড়ে যেতে পারেন৷
* মানুষের পাকস্থলী না থাকলে পৃথিবীটা একদম অন্যরকম হতো৷ সবাই কবিতা লিখতো৷
* মহাবিশ্ব থেকে দূরে, কোনো নরকের ভেতর থেকে আমি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকবো৷