তালেবানের নৃতাত্বিক পরিচয়: ‘আফগান’ নামটির উৎপত্তি সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। খ্রিষ্টিয় ষষ্ঠ শতকে একটি সংস্কৃত গ্রন্থে ‘আভাগানা” শব্দটি পাওয়া যায়। আধুনিক আফগানিস্তানের জনগোষ্ঠীকে জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চারটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। পাশতুন বা পাখতুন, তাজিক, উজবেক ও হাজারা জাতিগোষ্ঠীর জনগণ দেশটিতে বাস করে। পাশতুন বা পাঠানদের হার জনসংখ্যার ৬০%, তাজিক ৩১%, উজবেক ৫% ও হাজারা ৩%। জনগোষ্ঠীর অবশিষ্ট ১% ভাগের মধ্যে রয়েছে হিন্দু, ইহুদি, শিখ ও অন্যান্য ু্ট্য এশিয়ার জাতি-ধর্মের লোকজন । সারা দেশেই প্রধান চারটি জাতিগোষ্ঠীর রা ছড়িয়ে আছে। তবে বেশির ভাগ পাঠান বা পাখতুনেরা দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাংশে রয়েছে। এছাড়া হিরাত ও সিস্তান অঞ্চলেও এদের বাস রয়েছে। তাজিকদের অধিকাংশ হিরাত ও কাবুল প্রদেশে রয়েছে। উত্তর ও মধ্য আফগানিস্তানে রয়েছে উজবেকদের বাস। ইরান সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও পার্বত্য জেলা হাজারাতে হাজারাদের বাস রয়েছে। পাঠানদের শারীরিক গঠন ভূমধ্যসাগরীয় জাতিগোষ্ঠীর একটি শাখা কাস্পীয়দের মতো।
কালো চুল ও কালো চোখের অধিকারী মধ্যম উচ্চতার পাঠানদের গায়ের রং তামাটে। পাঠানদের চেয়ে তাজিকদের চোখের রং নীল এবং চুলের রং হান্কা সোনালি। উজবেকদের রয়েছে মঙ্গোলিয়ান এবং মিশ্র ইউরোপিয়ান বৈশিষ্ট্য । হাজরা মূলত মঙ্গোলিয়ান জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত । আফগানিস্তানে বিশটির মতো ভাষা প্রচলিত রয়েছে। প্রধান ভাষাগুলোর মধ্যে রয়েছে পশৃতু এবং ফারসি। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের বৈশিষ্ট্য এইগুলোতে রয়েছে।
বিদ্যালয় সমূহে এই দুইটি ভাষা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শতকরা ৭৫% আফগান দ্বি-ভাষী। পাঠানদের মাতৃভাষা পশ্তু। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে এই ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত। জালালাবাদ থেকে কান্দাহার পর্যন্ত পশৃতু ভাবীদের প্রীধান্য রয়েছে।7১৯৩৬ সালে পশৃতু ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। একটি রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে এই ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পশৃতু ভাষা প্রসারের জন্য পশৃতু একাডেমি কাজ করছে। তাজিকি ভাষা ফারসি লিখন শৈলী ধারণ করে এখনো হাঁজারাদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। পশৃতু ও ফারসি ভাষায় আরবি বর্ণমালার ধরন ব্যবহার হয়ে থাকে। উজবেকদের শহর মাজার-ই-শরীফে উজবেক ভাষা প্রচলিত। উজবেকদের সংখ্যা আনুমানিক ১০ লক্ষ । এছাড়া তুর্কি ও কিরঘিজীয় ভাষা আফগান সীমান্তে প্রচলিত আছে। পূর্ব আফগানিস্তান ও কাবুলে বসবাসরত ভারতীয় ব্যবসায়ীরা লাহ্দাহ (এক প্রকার পাঞ্জাবি) ভাষা ব্যবহার করে থাকে । আফগানদের মধ্যে যেমন বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী রয়েছে তেমনি রয়েছে যাপিত জীবনের নানা বৈশিষ্ট্য । প্রায় ২০ লক্ষ আফগান (যাদের অধিকাংশই পাঠান), যাযাবর, এরা পশু পালন করে থাকে । বিভিন্ন খতুতে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভেড়া ও অন্যান্য পশুপালনের জন্য নানা স্থানে গমন করে। তাজিকেরা কৃষি নির্ভর ও সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে থাকে। হিন্দুকুশের উত্তরে তাজিকেরা শহর ভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। পামির অঞ্চলের কিছু জনগোষ্ঠী প্রাচীন ফারসি ভাষা ব্যবহার করে এবং এরা নিজেদের গ্রামে সাধারণত বাস করে না।
তালেবান সৃষ্টির ইতিহাস জানতে এই পোস্টটি আরো ভালো করে পড়া শুরু করে দিন.
হাজীরা জনগোষ্ঠীর লোকেরা কৃষি ও পশু পালন করে থাকে। আফগানেরা সাধারণভাবে যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। নারী সম্প্রদায় পর্দা প্রথায় আকীর্ণ। যদিও বিশ শতকের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের জন্য নানা সংস্কার পরিচালনা করা হয়েছিলো । আফগানদের মধ্যে বিনোদন হিসেবে এক ধরনের
রয়েছে হিন্দু, ইহুদি, শিখ ও অন্যান্য ু্ট্য এশিয়ার জাতি-ধর্মের লোকজন । সারা দেশেই প্রধান চারটি জাতিগোষ্ঠীর রা ছড়িয়ে আছে। তবে বেশির ভাগ পাঠান বা পাখতুনেরা দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাংশে রয়েছে। এছাড়া হিরাত ও সিস্তান অঞ্চলেও এদের বাস রয়েছে। তাজিকদের অধিকাংশ হিরাত ও কাবুল প্রদেশে রয়েছে। উত্তর ও মধ্য আফগানিস্তানে রয়েছে উজবেকদের বাস। ইরান সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও পার্বত্য জেলা হাজারাতে হাজারাদের বাস রয়েছে। পাঠানদের শারীরিক গঠন ভূমধ্যসাগরীয় জাতিগোষ্ঠীর একটি শাখা কাস্পীয়দের মতো।
তালেবানের মেয়ে বই pdf bangladownload free full
কালো চুল ও কালো চোখের অধিকারী মধ্যম উচ্চতার পাঠানদের গায়ের রং তামাটে। পাঠানদের চেয়ে তাজিকদের চোখের রং নীল এবং চুলের রং হান্কা সোনালি। উজবেকদের রয়েছে মঙ্গোলিয়ান এবং মিশ্র ইউরোপিয়ান বৈশিষ্ট্য । হাজরা মূলত মঙ্গোলিয়ান জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত । আফগানিস্তানে বিশটির মতো ভাষা প্রচলিত রয়েছে। প্রধান ভাষাগুলোর মধ্যে রয়েছে পশৃতু এবং ফারসি। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের বৈশিষ্ট্য এইগুলোতে রয়েছে। বিদ্যালয় সমূহে এই দুইটি ভাষা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শতকরা ৭৫% আফগান দ্বি-ভাষী। পাঠানদের মাতৃভাষা পশ্তু। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে এই ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত। জালালাবাদ থেকে কান্দাহার পর্যন্ত পশৃতু ভাবীদের প্রীধান্য রয়েছে।7১৯৩৬ সালে পশৃতু ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। একটি রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে এই ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। পশৃতু ভাষা প্রসারের জন্য পশৃতু একাডেমি কাজ করছে। তাজিকি ভাষা ফারসি লিখন শৈলী ধারণ করে এখনো হাঁজারাদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। পশৃতু ও ফারসি ভাষায় আরবি বর্ণমালার ধরন ব্যবহার হয়ে থাকে। উজবেকদের শহর মাজার-ই-শরীফে উজবেক ভাষা প্রচলিত। উজবেকদের সংখ্যা আনুমানিক ১০ লক্ষ ।
আফগানিস্তান অতীত ও বর্তমান pdf book download
এছাড়া তুর্কি ও কিরঘিজীয় ভাষা আফগান সীমান্তে প্রচলিত আছে। পূর্ব আফগানিস্তান ও কাবুলে বসবাসরত ভারতীয় ব্যবসায়ীরা লাহ্দাহ (এক প্রকার পাঞ্জাবি) ভাষা ব্যবহার করে থাকে । আফগানদের মধ্যে যেমন বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী রয়েছে তেমনি রয়েছে যাপিত জীবনের নানা বৈশিষ্ট্য । প্রায় ২০ লক্ষ আফগান (যাদের অধিকাংশই পাঠান), যাযাবর, এরা পশু পালন করে থাকে । বিভিন্ন খতুতে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভেড়া ও অন্যান্য পশুপালনের জন্য নানা স্থানে গমন করে। তাজিকেরা কৃষি নির্ভর ও সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে থাকে। হিন্দুকুশের উত্তরে তাজিকেরা শহর ভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। পামির অঞ্চলের কিছু জনগোষ্ঠী প্রাচীন ফারসি ভাষা ব্যবহার করে এবং এরা নিজেদের গ্রামে সাধারণত বাস করে না। হাজীরা জনগোষ্ঠীর লোকেরা কৃষি ও পশু পালন করে থাকে। আফগানেরা সাধারণভাবে যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। নারী সম্প্রদায় পর্দা প্রথায় আকীর্ণ। যদিও বিশ শতকের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের জন্য নানা সংস্কার পরিচালনা করা হয়েছিলো ।
ডাউনলোড লিংক: