দ্যা সাইলেন্ট পেশেন্ট অনুবাদ pdf PDF download & Review:
দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট পিডিএফ তথ্য-
- বইয়ের নাম: দ্যা সাইলেন্ট পেশেন্ট
- লেখক: অ্যালেক্স মাইকেলিডিস
- অনুবাদক :সালমান হক
- জনরা: সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার
Review:
বেশ কিছুদিন ধরে থ্রিলার বই পড়ে শেষ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ পড়ে শেষ করলাম অ্যালেক্স মাইকেলিডিস এর বই দ্যা সাইলেন্ট পেশেন্ট। পড়তে যে অনেক ভালো লাগলো, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর আমার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্যেই এই রিভিউ দেয়া। স্পয়লার ছাড়া অবশ্যই।
কাহিনীর প্লট একটু বলে নেই।
কাহিনীর মুখ্য চরিত্র, বিখ্যাত চিত্রশিল্পী অ্যালিশিয়া বেরেনসন, অভিযুক্ত হন নিজের স্বামী, গ্যাব্রিয়েল বেরেনসনকে খুন করার অভিযোগে। পরপর পাঁচবার স্বামীর মাথায় গুলি করে হত্যা করেছেন তিনি, শুধু তাই নয়, এরপর থেকে একটিবারের জন্য মুখ খুলেন নি এই শিল্পী। একটা টু শব্দ তার মুখ থেকে কেউ বের করতে পারেনি। দীর্ঘ কয়েকবছর তার মনের কথা কেউ জানতে পারেনি, কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করেননি,একটিবারের জন্য হাতে তুলে নেননি রংতুলি। স্বাভাবিকভাবেই সবার আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই আলোচিত অপরাধের বিচারকার্যের সময়েও মুখ খুলেন অ্যালেশিয়া। আর তাই তাকে মানসিক অসুস্থ হিসেবে পাঠানো হয় উত্তর লন্ডনের মানসিক হাসপাতাল গ্রোভ-এ। বহুল সমালোচিত এই কাহিনি আর অ্যালেশিয়ার পরিণতি সম্পর্কে জানতে পেরে তাকে সাহায্য করার জন্য উদ্যোগী হন সাইকোথেরাপিস্ট থিও ফেভার। গ্রোভে এসে তিনি জট খুলতে থাকেন অ্যালেশিয়ার জীবনের একটার পর একটা রহস্যের, অনেক হারিয়ে যাওয়া সূত্র ধরে আগাতে আগাতে তিনি পৌঁছে যান অ্যালেশিয়ার অতীতের অস্পৃশ্য স্মৃতিগুলোতে। শেষ পর্যন্ত থিও কি পারেন অ্যালিশিয়াকে সাহায্য করতে? কেন সে তার ভালোবাসার মানুষকে খুন করেছিল নিষ্টুরভাবে? আদৌ কি সে অপরাধী এই খুনের জন্য? জানতে হলে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে ‘দ্যা সাইলেন্ট পেশেন্ট’ বইটা।
এবার একটু আমার অনুভূতি ব্যক্ত করি। আমি নিজে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাঁচের বই পড়তে খুব পছন্দ করি। একটা আলাদা রোমাঞ্চ কাজ করে আমার ভেতর এই ধরনের বই পড়ার সময়। মানুষের মন যে কত বিচিত্র ভাবে কাজ করে, সেটা বোঝার ভালো উপায় হলো এই ধরনের বই পড়া। সেই দিক থেকে, এই বই আমার পাঠক মনকে খুব ভালোভাবে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে। বইটা যতক্ষণ পড়েছি, কাহিনীর ভিতরে ডুবে থেকেছি। এই বই পড়তে পড়তে আমার দিন বেশ ভালো কেটেছে।
বইয়ের অনুবাদ নিয়ে কোনো কথাই নেই। খুব দারুন অনুবাদ হয়েছে। সহজ অনুবাদ, পড়ার আগ্রহকে অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। সালমান হককে এই জন্যে ধন্যবাদ।
আমার নিজের কাছে বইটা বেশ ভালো লেগেছে। যারা পড়েননি, পড়ে দেখতে পারেন।সময় যে মন্দ কাটবে না, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।