[Pdf] চেঞ্জ ইউর থিংকিং চেঞ্জ ইউর লাইফ pdf download

Change your thinking change your life bangla Pdf download free চেঞ্জ ইউর থিংকিং চেঞ্জ ইউর লাইফ pdf download

Change your thinking change your life bangla Pdf Download -চেঞ্জ ইউর থিংকিং চেঞ্জ ইউর লাইফ pdf download

সফলতা ও অর্জনের জন্য কি করে আপনার ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।

লেখকঃ ব্রায়ান ট্রেসি
ধরণ: অনুবাদ: আত্ম-উন্নয়ন ও মেডিটেশ

ভাবনাকে বেছে নিন

সফল মানুষ তারাই, যারা অসফল মানুষের চেয়ে অনেক বেশি কার্যক্রম রূপে চিন্তা করে। তারা তাদের জীবন, সম্পর্ক, লক্ষ্য, সমস্যা ও অভিজ্ঞতাকে অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে প্রকাশ করে। তারা উন্নত বীজ লাগায়, ফলে তারা ভাল ফসল পায়। আপনি যদি সফল, সুখী, স্বাস্থ্যবান ও উন্নত মানুষদের মতো ভাবতে ও কাজ করতে শিখেন, আপনিও তাদের মত জীবন-যাপন করবেন। যখন আপনি ভাবনা বদলাবেন, আপনার জীবন বদলে প্রকৃতি ঠাট্টা বোঝে না। সে সবসময় সত্য, সবসময় গভীর ও মারাত্মক। সে সবসময় সঠিক। মানুষ ভুল ও দোষ করে। যারা প্রকৃতিকে বুঝতে সক্ষম নয়, তাদের সে ত্যাগ করে। কেবল যোগ্য, খাটি ও সত্যবাদীর কাছে সে নিজেকে সঁপে দেয় ও গোপনীয়তা ফাস করে।  – জোহান উল্ফ্গ্যাঙ ভন গোথী

১ম অধ্যায়  ভাবনা বদলান 

মনন্তত্বের একটি সূত্র আছে যে তুমি যা হতে চাও তার একটি চিত্র যদি মনের মধ্যে তৈরি  কর আর দীর্ঘ সময় তা ধারণ কর, তবে শীঘ্রই তুমি ঠিক তা-ই হবে। অবিকল তোমার  ভাবনার মত। – উইলিয়াম জেমৃস         অনেক বছর আগে ৩০ বছর বয়সী এক বিবাহিতা মহিলা ছিলেন যার দুটি সন্তান  ছিল। অন্য অনেকের মতো এমন একটি ঘরে তিনি বেড়ে উঠলেন, এখানে  সবসময় তিনি সমালোচিত হতেন ও প্রায়ই বাবা-মা তার সাথে ন্যায় আচরণ  করতেন। ফলে তিনি ভীষণ হীনমন্যতার গভীর অনুভূতি পোষণ করতেন। তিনি  নেতিবাচক ও ভীত ছিলেন এবং আদৌ তার কোন আস্তা ছিল না। তিনি লাজুক ও  আত্মধ্বংশী ছিলেন এবং নিজেকে কখনো মূল্যবান ভাববেন না। তার মনে হত  তিনি কোন কাজের যোগ্য নন। একদিন ড্রাইভিং করার সময় অন্য একটি গাড়ি  তার গাড়িকে ধাক্কা দিল। যখন তীর জ্ঞান ফিরল, তখন তিনি হাসপাতালে  স্মৃতিত্র্ট অবস্থায় ছিলেন। তিনি তখন কথা বলতে পারছিলেন, তবে অতীতের  কিছুই তার মনে রইলো না। প্রথমে ডাক্তার ভাবলেন যে এটি সাময়িক। কিন্তু  সপ্তাহ পেরিয়ে গেল। তার কোন উন্নতি হল না। তার স্বামী ও ছেলেমেয়েরা  প্রতিদিন তাকে দেখতে আসতো, কিন্ত তিনি তাদের চিনতে পারতেন না। একটি  অস্বাভাবিক কেস ছিল বলে অন্য ডাক্তার ও স্পেশালিষ্টরা তাকে দেখতে আসত,  পরীক্ষা করত ও তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইত।

প্রস্তুতি 

যথারীতি তিনি বাড়ি গেলেন শুন্য মনে। নিজের কি হয়েছে জানার জন্য থিনি  মেডিকেলের বইপত্র পড়তে শুরু করলেন আর স্মৃতিত্রষ্টের বিশেষ অংশগুলো  জানতে লাগলেন। তিনি এই বিষয়ের স্পেশালিষ্টদের সাথে দেখা করলেন ও কথা  বলবেন। তিনি তার অবস্থার কথা লিখে রাখলেন। কিছুদিন পরই তাকে এক  মেডিকেল কনভেনশনে ডাকা হল যাতে তিনি নিজের অবস্থায় কথা জানাতে  পারেন, স্ৃতিবিভ্রমের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন ও নিউরোলজির ক্ষেত্রে  তার অভিজ্ঞতা ও ধারণার কথা বলতে পারেন।

এই সময়ের মধ্যে অদ্ভুত কিছু ঘটল । তিনি একজন নতুন মানুষে পরিণত হলেন।  হাসপাতালে ও অন্য সবার মনোযোগ তাকে মূল্যবান, জরুরী ও ভালবাসার মানুষ  হিসেবে সম্মান দিল। সকলের সুনজর তাকে আত্মউন্নয়ন ও আত্মসম্মান তৈরিতে  সাহায্য করল। প্রকৃতই তিনি একজন ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী, পরিমার্জিত ও  জ্ঞানী বক্তা হয়ে উঠলেন।  তার শৈশবের সকল নেতিবাচক স্মৃতি মুছে গেল। তার হীনমন্যতাবোধ হয়ে গেল।  তিনি একজন নতুন মানুষ হয়ে উঠলেন। তিনি তার চিন্তাভাবনা বদলালেন ও তার  জীবন বদলে গেল।      

খালি প্লেট    স্কটিশ দার্শনিক ডেভিড হিউম সর্বপ্রথম খালি শ্লরেটের ধারণা দিয়েছিলেন এই  সূত্রমতে, প্রতিটি মানুষ কোন চিন্তা বা ধারণা ছাড়াই পৃথিবীতে আসে এবং তার  সব ভাবনা ও অনুভূতি শৈশব থেকে শেখা শুরু হয়। অর্থাৎ একটি শিশুর মন  থাকে ফাকা প্লেটের মত যেখানে তার দেখা প্রতিটি ব্যক্তি ও অভিজ্ঞতা দাগ রেখে  যায়। সে যা শিখে, অনুভভ করে ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তার সম্মিলিত  যোগফল হল পূর্ণাঙ্গ মানুষটি । একজন মানুষ যা করে বা পরবর্তীতে যা কিছু হয়,  তার আগের পরিস্থিতি ফলাফল সেটি । জ্যারিষ্টোটল যেমন লিখেছিলেন, “যা কিছু  সুগ্ধ করে, তা-ই প্রকাশিত হয়।”    বিংশ শতাব্দীতে মানুষের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আত্মধারণার  আবিষ্কার এর মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তি তার জন্মের পর থেকে ধারণকৃত সকল  বিশ্বাসের উন্নয়ন ঘটাতে পারে । এতে আপনি যা ভাবেন, বলেন, অনুভব করেন  ও সম্পন্ন করেন তার সবকিছুই অবচেতন মনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এজন্যই  আত্ম-ধারণার পরিবর্তনের সাথে বাহ্যিক জীবনও বদলে যায়, বদলে যায় নিজের  ও চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ।  একটি শিশু কোনরকম আত্ম-ধারণা ছাড়াই জন্ম নেয়। আপনার যত ধারণা,  মতামত, অনুভূতি বা আচরণ, সমত্তই আপনার শৈশব কাল থেকে শেখা । আপনি  সে ধারণাকে সত্য বলে গ্রহণ করেছে, তারই ফলাফল বর্তমানের মানুষটি । যখন  আপনি কিছুকে সত্য বলে ধরে নেন, সেটাই আপনার জন্য সত্য হয়ে যায়, মূল  বিষয়টি যা-ই হোক্না কেন?

প্রথম মনোভাবই স্থায়ী হয় 

“আপনার বাবা-মা, যারা আপনাকে ভালবেসেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন, সমর্থন  করেছেন, বিশ্বাস করেছেন আর সবসময় বলেছেন যে আপনি খুব ভাল, তবে  আপনি যা-ই করে থাকুন না কেন, একটি বিশ্বাস নিয়ে বড় হবেন যে আপনি খুব  ভাল ও মূল্যবান মানুষ । তিনি বছর বয়সে এই বিশ্বাস আপনার মনে গেঁথে যাবে  আর পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও হবে একইরকম ।  পরবতীতে যা-ই ঘটুক না কেন, আপনি এই বিশ্বাসকে আকড়ে থাকবেন। এটি  আপনার কাছে বাস্তবতা বলে গণ্য হবে।  যদি আপনার বাবা-মা এটি না জেনে থাকেন যে তাদের বাক্য ও আচরণ আপনার  ব্যক্তিত্ব তৈরিতে কতটা মুল্যবান, তবে তারা আপনাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য  সমালোচনা, নিরুৎসাহ, শারীরিক বা মানসিক শান্তি দিতে পারেন।

একটি শিশুকে  যখন কম বয়সে কেবলি সমালোচনা করা হয়, তখন তার মনে হয় নিশ্চয়ই তার  কোথাও সমস্যা আছে। সে বুঝতেই পারে না যে কেন তাকে শান্তি দেয়া হচ্ছে।  সে মনে করে যে তার বাবা-মা’ই সত্যটা জানে আর নিশ্চয় এটি তার প্রাপ্য। সে  ভাবতে শুরু করে যে তার কোন মূল্য নেই। সে নিশ্চয়ই অপদার্থ। পরিণত  বয়সের প্রায় সকল ব্যক্তিত্ব সংঘাতের কারণ হিসেবে মনোবিজ্ঞানীরা ভালোবাসার  অভাবকে দায়ী করেছেন। গোলাপের জন্য বৃষ্টি যেমন জরুরী, শিশুদেরও  ভালোবাসা প্রয়োজন । ভালোবাসা না পেলে তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করে।  তারা ভাবে, “আমি ভালো নই” মানসিক অস্থিরতার জন্য তাদের আচরণ বদলে  য়। বঞ্চনার অনুভূতি থেকে তাদের্‌মধ্যে বৈরি আচরণ, ব্যক্তিত্বের সংঘাত রাগ,  হতাশা, অসহায়ত্ব ও দুঃস্বপ্ন জনো নেয়া

জন্মেছেন নির্ভীক 

পড়ন ও তীব্র আওয়াজ ছাড়া বাচ্চারা অন্যকিছুকে ভয় পায় না, কারণ তারা  নিরভীকভাবে জন্মায় । অন্যান্য ভয়গুলো বড় হতে হতে শিখে । সবচেয়ে বড় দুটো  ভয় হল পরাজয়ের ভয় ও সমালোচনার ভয়। নতুন বা ভিন্ন কিছু করতে গেলে  যখন আমরা নিরন্তর আক্রান্ত বা সাজাপ্রাপ্ত হই, হেরে যাওয়ার ভয়টা আমার  শিখতে শুরু করি । আমাদেরকে চিৎকার করে বলা হয়, “না। যাও এখন থেকে ।  থামো। ওটা রাখো ।” শারীরিক শান্তি ও ভালবাসার অভাব আমাদেরকে ভীত ও  অসহায় করে তোলে।    আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করি যে আমরা এত ছোট আর দুর্বল, নতুন বা ভিন্ন  খিছু করার কোন ক্ষমতা ও যোগ্যতা আমাদের নেই । আমরা অনুভূতি প্রকাশ  করতে থাকি এই বলে যে “আমি পারবো না, পারবো না, পারবো না।” যখনই  নতুন বা চ্যালেঞ্জিং কিছু করার কথা ভাষি, ভয়, কম্পন ও উত্তেজনার এক  অনুভূতি আমাদের গ্রাস করে। আমাদের প্রতিক্রিয়া এমন হয় যেন মার খেতে  যাচ্ছছি। আমরা কেবল বলতে থাকি, “আমি পারবো না।”

আরও পড়ুনঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *